একের পর এক বিপর্যয়। হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এক ফুটবল (Football) প্রতিভা। বাবা প্রয়াত হয়েছেন, মা হাসপাতালে। দিদির সঙ্গে জীবন সংগ্রামে মহম্মদ শামিম সর্দার (MD Samim Sardar)।
শুক্রবার রাতে ফোন করেছিলেন সোনারপুর ডায়নামিক স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সোহম ভট্টাচার্য। তিনি যা বললেন সেটা এক কথায় বেদনাদায়ক। ষোলো বছর বয়সী এক ছেলের স্বপ্ন ভাঙতে বসার কথা বললেন সোহম।
Bijay Chhetri: দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাবের হয়ে মাঠে নামতে পারেন বিজয়
সোনারপুর ডায়নামিক স্পোর্টস অ্যাকাডেমির অন্যতম সেরা ছাত্র মহম্মদ শামিম সর্দার। খেলে বেলেঘাটা বালক বৃন্দর হয়ে। বারুইপুরের মাদারহাটের কাটাপুকুরে বাড়ি। ছেলেটা বাঁ-পা খুব ভাল চলে। শামিম দলের ক্যাপ্টেন। ক্লাস টেনে পড়ে, আগামী দিনে হতে চায় পেশাদার ফুটবলার। পড়াশুনা, ফুটবল, বাবা-মা, দিদিকে নিয়ে দিন কাটছিল। এমন সময় ছন্দ পতন।
এক মাসও হয়নি প্রয়াত হয়েছেন শামিম সর্দারের বাবা। ক্যান্সার হয়েছিল তাঁর। বাবা প্রয়াত হওয়ার দিন কয়েক পর অসুস্থ হয়ে পড়েন শামিমের মা। এখন বাইরপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ঠিক কী হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। চিকিৎসা চলছে।
Mohun Bagan: বড় সই সংবাদ দিল মোহনবাগান
শামিমের দিদির বয়স সতেরো। নিশা খাতুন ভাইয়ের থেকে এক বছরের বড়। দিদির কাঁধে এখন সংসারের দায়িত্ব এসে পড়েছে। শামিমের দিদি সুতো কাটার কাজ করে। এক দিকে ভাই, অন্য দিকে মা। এক মাসের মধ্যে গোছানো সংসারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। ফুটবলার খেলার পাশাপাশি শামিম চেয়েছিল ফুটবল খেলতে। কলকাতা ফুটবল লিগের পঞ্চম ডিভিশনের প্লেয়ার। সম্প্রতি খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে ভাল খেলেছিল।
সোহম ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দু’মোঠো চাল নেই শামিমের বাড়িতে। জল-মুড়ি সম্বল। এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উদ্ধার পাবে মাদারহাটের সর্দার পরিবার? উত্তর এখনও জানা নেই। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।