ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝমাঝি সময় থেকে শোনা যাচ্ছিল, একাধিক বিদেশি ক্লাব তাঁকে দলে নিতে আগ্রহী। সম্ভাবনা সত্যি করে বিদেশে যাওয়ার বিমান ধরবেন মণীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan)।
মণীষা কল্যাণের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে সাইপ্রিওট চ্যাম্পিয়ন ক্লাব অ্যাপোলান লেডিজ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার কথা রয়েছে এই ক্লাবের। সব কিছু ঠিক থাকলে মণীষাকেও দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে। এই সম্ভাবনাও যদি সত্যি হয়, তাহলে তিনিই হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা প্রথম ভারতীয় মহিলা ফুটবললার।
জর্ডনের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে গোল করেছিলেন মণীষা কল্যাণ। বিশ্বকাপে গোল করে জিতেছিলেন দলকে। পাঞ্জাবের মণীষার খেলা ফুটবল মহলের নজর কেড়েছে। স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর ক্লাব ভারতীয় এই ফুটবলারকে দলে নিতে আগ্রহী বলে এপ্রিল মাসে শোনা গিয়েছিল।
মণীষার জন্ম পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তাঁর বাবা। গ্রামে ছোটো একটা দোকানে বসতেন নিয়মিত। কসমেটিক্সের দোকান।
খেলাধূলার প্রতি ছোটো থেকেই আগ্রহ ছিল কল্যাণীর। তেরো বছর বয়স থেকে চষে বেড়িয়েছেন মাঠ। তবে ফুটবল খেলতেন না তখন। অ্যাথেলেটিক্স হিসেবে শুরু করেছিলেন প্রশিক্ষণ। পরে তাঁকে ফুটবল মাঠের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন স্কুলের কোচ ব্রাহ্ম। এক সাক্ষাৎকারে মণীষা বলেছিলেন, ‘ স্কুলের টিমে অ্যাথেলেটিক্স হিসেবে শুরু করেছিলাম। পরে ব্রাহ্ম স্যার আমাকে ফুটবল খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।’
ভারতের অনূর্ধ্ব ১৭ ও ১৯ দলে জায়গা পেতে অসুবিধা হয়নি পাঞ্জাব তনয়ার। ২০১৯ এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা বিভাগের চ্যাম্পিয়নশিপে আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর নাম। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিনিয়র পর্যায়ের জাতীয় দলে অভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।