Mahesh Gawli: লেবানন ম্যাচের পর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মহেশ গাউলি, কিন্তু কেন?

গতকাল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে লেবানন কে ট্রাইবেকারে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যায় ভারত। নির্ধারিত সময়ের শেষে খেলার ফলাফল গোলশূন্য থাকলেও পেনাল্টি শুটআউটে গিয়ে…

Mahesh Gawli

গতকাল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে লেবানন কে ট্রাইবেকারে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যায় ভারত। নির্ধারিত সময়ের শেষে খেলার ফলাফল গোলশূন্য থাকলেও পেনাল্টি শুটআউটে গিয়ে গুরপ্রীত সিং সিন্ধুর হাতে আটকে যেতে হয় শক্তিশালী লেবানন কে।

যারফলে, আগামী ৪ জুলাই কুয়েতের বিপক্ষে সাফ কাপের ফাইনাল খেলবে ব্লু টাইগার্স। যা দেখে উচ্ছসিত সকলেই। বর্তমানে আগত ফাইনাল ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে ভারতের আপামর ফুটবলপ্রেমী মানুষ। গতকালের এই জয়ের ক্ষেত্রে দলের অন্তবর্তীকালীন কোচ মহেশ গাওলির (Mahesh Gawli) ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তবে এই জয় দলের হেড কোচ ইগর স্টিমাচকেই উৎসর্গ করেছেন তিনি।

পরবর্তীতে দলের ছেলেদের খেলার প্রশংসা করার পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক থেকেই রেফারির সিদ্ধান্তের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গাওলি। কিন্তু কেন? আসলে কুয়েতের বিপক্ষে নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের লাল কার্ড দেখার দরুন গত সেমিফাইনাল ও ফাইনাল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ ইগর স্টিমাচ।

এরফলে গতকাল ডাগ আউটের বদলে ভিআইপি গ্যালারির ব্যালকনি থেকেই গোটা ম্যাচ দেখতে হয়েছে হেড কোচ কে। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দেশের এই প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমাদের হেড কোচ ইগর স্টিমাচের সঙ্গে যথেষ্ট অন্যায় হয়েছে। কেনো ওনাকে দুটো ম্যাচে নির্বাসন দেওয়া হল তার কারন এখনো আমার বোধগম্য হয়নি। উনি তো কাউকে আক্রমণ করেননি। তাহলে হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল ম্যাচ রেফারি কে? “

পাশাপাশি দলের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেমির এই ম্যাচের শুরু থেকেই লেবানন যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। মূলত নিজেদের দুটো উইং কে কাজে লাগিয়ে বারংবার ওরা আক্রমণে উঠে আসছিল। যা সামাল দিতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল আমাদের ছেলেদের। তবে খেলার বয়স বাড়তেই ম্যাচের রাশ ধীরি ধীরে আমাদের হাতে আসতে থাকে। আমাদের ফুটবলাররা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে হানা দিচ্ছিল। একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তা কাছে লাগতে পারলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ম্যাচ জিতে আমরা মাঠ ছাড়তে পারতাম।