Mohammedan SC: আইনি সাহায্য নিতে পারে মহামেডান, কিন্তু কেন?

এই মরশুমের প্রথম থেকেই দূরন্ত ফর্মে রয়েছে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব (Mohammedan SC)। গত দুই বছরের রেকর্ড ধরে এবারো প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে ময়দানের বাকি দুই প্রধান…

Alexis Nahuel Gómez and Mirjalol Kasimov

এই মরশুমের প্রথম থেকেই দূরন্ত ফর্মে রয়েছে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব (Mohammedan SC)। গত দুই বছরের রেকর্ড ধরে এবারো প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে ময়দানের বাকি দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলকে হারিয়ে খেতাব নিশ্চিত করে রেড রোডের এই ফুটবল ক্লাব। যারফলে, কয়েক দশক পর টানা তিনবার কলকাতা লিগের খেতাব নিশ্চিত করে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

তবে এখানেই শেষ নয়। এবারের আইলিগে ও সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখাই অন্যতম লক্ষ্য আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেদের। সেইমতো একের পর এক ম্যাচ জয় করে চলেছে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব। প্রথমে আইলিগ জয়ী আইজল এফসিকে হারিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করে সাদা-কালো ব্রিগেড। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী শিলং লাজং এফসির বিপক্ষে ড্র করতে হলেও তৃতীয় ম্যাচে সুদেবা দিল্লির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পায় ডেভিডরা। এমনকি পরবর্তীতে নিজেদের অ্যাওয়ে ম্যাচে চার্চিল ব্রাদার্স ও রাজস্থান ইউনাইটেডের মতো শক্তিশালী দলকে ধরাশায়ী করার পর আজ টুর্নামেন্টের নয়া দল ইন্টারকাশির বিপক্ষে ও থাকে সমান পারফরম্যান্স।

তবে সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মহামেডানের। গতকাল থেকে দলের অন্দরে দেখা দিয়েছে নয়া সমস্যা। শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে সাদা-কালো ব্রিগেডের দুই দাপুটে বিদেশিকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা অ্যালেক্সিস গোমেজ আর কাশিমভ। গত, চার্চিল ম্যাচে রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল এই দুই ফুটবলার। তার যেরে লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল দুইজনকেই। তারজন্য রাজস্থান ম্যাচে নামতে পারেননি তাদের কেউ।

তবে ইন্টারকাশি ম্যাচে তাদের নামানোর আশা করা হলেও জারি করা হয় নয়া শাস্তি। সেইমতো এবার কাশিমভকে মোট আট ম্যাচ ও অ্যালেক্সিস গোমেজ আরও তিন ম্যাচ থাকতে হবে মাঠের বাইরে। যা নিঃসন্দেহে বিরাট ধাক্কা দলের অন্দরে। এই নিয়ে ডিসিপ্লিনিরি কমিটির কাছে একবার ক্লাবের তরফ থেকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি।

তবে এবার এই নিয়ে আইনি পথে হাঁটার কথাও শোনা গিয়েছে। ক্লাবের তরফ থেকে। সাদা-কালো কর্তা কামরুদ্দীন ববি বলেন, এই নিয়ে এআইএফএফ কল্যাণ চৌবের সঙ্গে আগে ও একবার কথা হয়েছে। যারফলে, তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আপিল করেন। তবে তা বাতিল করে দেওয়ার পর পুনরায় তাদের তরফ থেকে কল্যাণ চৌবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফের অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে আপিল করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। এবার ও তা বাতিল হলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হতে পারে তাদের তরফে।