জার্মানিকে হারিয়ে তৃতীয় ফ্রান্স, ইতিহাস গড়লেন নায়ক এমবাপে

নেশন্স লিগের (UEFA Nations League 2025) গুরুত্বহীন ম্যাচে জার্মানিকে (Germany) ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করল ফ্রান্স (France)। যদিও দুই দেশের কাছেই ছিল এদিন…

Kylian Mbappe scored his 50th international goal as France beat UEFA Nations League 2025 hosts Germany

নেশন্স লিগের (UEFA Nations League 2025) গুরুত্বহীন ম্যাচে জার্মানিকে (Germany) ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করল ফ্রান্স (France)। যদিও দুই দেশের কাছেই ছিল এদিন সম্মান রক্ষার লড়াই। এই ম্যাচে ফ্রান্স অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের ৫০তম গোলটি করেন, যা ফ্রান্সের জয়ের দরজা খুলে দেয়।

প্রথমার্ধে ম্যাচের গতি বেশ তীব্র ছিল। জার্মানি শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইক মেনিয়ান একাধিকবার চমৎকার সেভ করে দলকে বাঁচান। বিশেষ করে করিম আডেয়েমির তিনটি জোরালো শট তিনি দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করেন। ফ্লোরিয়ান ভিরৎস একটি আক্রমণে পোস্টে বল মারেন, যা জার্মানির দুর্ভাগ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

   

৪৪তম মিনিটে আউরেলিয়েন চুয়ামেনির কাছ থেকে দুর্দান্ত এক পাস পেয়ে এমবাপে ডান পায়ের নিখুঁত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। এই গোলটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৫০তম আন্তর্জাতিক গোল, যা তাকে ফ্রান্সের ইতিহাসে সেরা গোলদাতাদের তালিকায় আরও ওপরে নিয়ে গেল।

দ্বিতীয়ার্ধেও জার্মানি একাধিক সুযোগ তৈরি করে। ৫৪ মিনিটে গোল শোধ করেছিলেন বদলি হিসেবে উন্ডাভ। কারণ নিকলাস ফুলক্রুগ আগের মুহূর্তে আদ্রিয়েন রাবিওকে ফাউল করেছিলেন। যার জন্য জন্য গোলটি বাতিল করে দেওয়া হয়।

Advertisements

ম্যাচের শেষ দিকে, ৮৪তম মিনিটে এমবাপে আবার নজর কাড়েন। রোবিন ককের একটি ভুল পাস ধরে নিয়ে তিনি বল এগিয়ে নিয়ে যান এবং গোলরক্ষকের সামনে একা হয়ে নিজে শট না নিয়ে বল বাড়িয়ে দেন মাইকেল ওলিসের উদ্দেশ্যে। ওলিস সহজেই বল জালে পাঠান এবং ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করেন।

এই ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে কিলিয়ান এমবাপে ছিলেন দুর্দান্ত। উয়েফা তাকে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করে বলেছে, “সে প্রথম গোলটি করে ম্যাচ খুলে দিয়েছে। দ্বিতীয় গোলেও তার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ট্রানজিশনে সে বিপজ্জনক ছিল।”

এই জয়ের ফলে জার্মানি টানা তিন ম্যাচে জয়হীন থাকলো। কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের দল পরপর পরাজিত হয়ে কিছুটা চাপে পড়ল। অন্যদিকে, ফ্রান্স স্বস্তিতে শেষ করলো তাদের নেশন্স লিগ অভিযান। এখন সবাই অপেক্ষায় স্পেন ও পর্তুগালের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালের দিকে।