কলকাতার ছেলে রফিক আলি সর্দার (Rafique Ali Sardar)৷ দারিদ্রের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বড় হয়েছেন। ক্রমে জায়গা পেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। মাঠে নেমেছিলেন সুব্রত পালের বদলি হিসেবে।
তরুণ বয়সে কলকাতার দুই বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের যুব অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন রফিক আলি সর্দার। পরে যোগ দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাব জামশেদপুর ফুটবল ক্লাবে। ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল জামশেদপুর এফসির হয়ে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন। গোয়ার বিরুদ্ধে সেই দিন মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সুব্রত পালকে। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রফিক। দল যদিও জিততে পারেনি।
এরপর তাঁর পেশাদার ফুটবল হিসেবে কেরিয়ার গ্রাফ যে ঊর্ধ্বমুখী এমনটা বলা যায় না। জামশেদপুরের পর ২০২০-২১ মরসুম যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। সুযোগ পাননি। এক মরসুম অতিক্রম হতে না হতেই তাঁর নাম বাতিলের খাতায় লিখে দিয়েছিলেন কোচ রবি ফাউলার। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন কিছু ম্যাচ। তাও হাতেগোনা।
২০২২- এ রাজস্থান ইউনাইটেডে। ফুটবল প্রেমীদের একাংশ বলেন, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সুযোগ পান না অনেক যোগ্য ভারতীয়। রফিক আলি সর্দার কি তেমনই একজন? প্রশ্ন থাকতে পারে। রফিকের বয়স এখনও কম, ২৪ বছর। তাই ফিরে দাঁড়ানোর সুযোগ এখনও আছে তাঁর সামনে।