CFL : মোহনবাগানের অনীহা, দোলাচলে ইস্টবেঙ্গল, বাকি মহামেডান, শিকড় ভুলছে প্রধানরা?

এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে কলকাতা ফুটবল লিগ (CFL )। বহু ক্লাবে শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি। কলকাতা ফুটবল লিগকে করা হয়েছে পাখির চোখ। উত্তাপ…

Football

এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে কলকাতা ফুটবল লিগ (CFL )। বহু ক্লাবে শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি। কলকাতা ফুটবল লিগকে করা হয়েছে পাখির চোখ। উত্তাপ নেই কলকাতার প্রধান ক্লাবগুলোতে। তিন প্রধানের তিনরকম ছবি।

এটিকে মোহন বাগানের স্কোয়াড এখনই বেশ শক্তিশালী। এখনও হয়তো কিছু সই বাকি রয়েছে। কিন্তু মাঠে নামানোর মতো দল ক্লাবের হাতে রয়েছে। কর্তারা চাইলেই দল মাঠে নামাতে পারতেন। কিন্তু সেটা বোধহয় হচ্ছে না। এর একটা কারণ হিসেবে মোহন তাঁবু থেকে বলা হচ্ছে, বঙ্গীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থার কাছ থেকে এখনও অনেকটা টাকা পাবে ক্লাব। তাছাড়া প্রাক মরসুম হিসেবে ডুরান্ড কাপকেই বেছে নিয়েছে কলকাতার এই প্রধান।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কথা এখন প্রায় সকলেই জানেন। বিনিয়োগকারী কোম্পানির সঙ্গে এখনও সই হয়নি। দল নামানো তার পরের কথা। তবে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা ফুটবল লিগ খেলতে চায়। বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে ক্লাবগুলোর বৈঠকে হাজির লাল ক্লাবের প্রতিনিধি। সম্ভাবনা থাকলেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কবে দল গড়বে, আর কবে অনুশীলন শুরু করবে, সেটার উত্তর এখনও নেই ফুটবল মহলে।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জমানায় বাংলা থেকে একমাত্র দল হিসেবে আই লিগ খেলছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাদের দল গোছানোর কাজ প্রায় শেষ। কিছু কাজ হয়তো এখনও বাকি রয়েছে। মোটের ওপর খাতায় কলমে দল তৈরি। অনুশীলনে একে অন্যকে চিনে নেওয়ার কাজ, ফুটবলারদের মধ্যে তালমেল তৈরি করতে হবে। অনুশীলনের শুরুর দিকে হয়তো স্কোয়াডের সঙ্গে থাকছেন না মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান কোচ। তাদেরও মূল লক্ষ্য ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলা।

মরসুম তিন চার আগেও কলকাতা ফুটবল লিগ নিয়ে দেখা যেতো সাজোসাজো রব। একে অন্যের বিরুদ্ধে নামতো কলকাতার তিন প্রধান। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জেল্লায় ফিকে পড়ে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা। ছোটো ক্লাবগুলো নিজেদের তৈরি করলেও, তেমন গা নেই বড় ক্লাবগুলোর।