প্রত্যেক বছর হিরো আইএসএলে নাটকীয় মুহুর্ত রেখে যায় টুর্নামেন্টের দল গুলি। এবার ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার সেই কেন্দ্রবিন্দুতে বেঙ্গালুরু বনাম কেরালা ম্যাচ। গত ৩রা মার্চ আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হয় কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। সেই ম্যাচ নিয়ে প্রথম থেকেই উন্মাদনা চরমে ছিল সকলের মধ্যে।
তবে প্রথমদিকে সব কিছু ঠিক থাকলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কেরালার বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বেঙ্গালুরু ব্রিগেড। এই পর্যন্ত সমস্ত কিছু ঠিক থাকলেও রেফারির বাঁশি বাজানোর আগেই ফ্রি কিক তুলে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তারপর সেখান থেকেই তৈরি হয় যাবতীয় বিতর্ক। কেরালার ফুটবলাররা সকলে এই গোল বাতিলের আবেদন জানালে ও তা নাকোচ করে দেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস্টাল জন। যা দেখে ব্যাপক চটে যান কেরল কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। পাশাপাশি শোরগোল পড়ে যায় গোটা স্টেডিয়ামে।
এই পরিস্থিতিতে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে মাঠ থেকে দল তুলে নেন কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। যারফলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় মাঠের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাচ কমিশনারেটের পাশাপাশি এক আইএসএল কর্তা কেরল ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলে, মাঠে দল নামানোর নির্দেশ দিলেও তাতে কাজ হয়নি। যারফলে, আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বেঙ্গালুরু এফসি কে জয়ী ঘোষণা করে ম্যাচ রেফারি। এতে পরের রাউন্ড অনায়াসেই সুযোগ করে নেয় সুনীল-সন্দেশরা।
তবে ম্যাচ কমিশনারেটের পাশাপাশি এফএসডিএল কর্তাদের অনুরোধ না মানায় আগে থেকেই জানা গিয়েছিল, যে বড়বড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। ঠিক তেমনটাই হল এবার। পরবর্তী সময়ে কেরালার তরফ থেকে সেই ম্যাচের ফুটেজ চেয়ে পাঠানোর পাশাপাশি রেফারির শাস্তির দাবি নিয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে দারস্থ হলেও কোনো লাভ হয়নি। এফএসডিএলের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের আইএসএলের নকআউট পর্বে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর জন্য ৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে কেরালা দলকে।
পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। নাহলে আরো ২কোটি টাকা অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৬ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে কেরল ম্যানেজমেন্ট কে। তবে শুধু ম্যানেজমেন্ট ই নয়, মাঠ থেকে ফুটবলারদের তুলে নেওয়ার জন্য দলের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ কে ১০ ম্যাচ সাসপেন্ড ও করেছে এফএসডিএল। যদিও এই নিয়ে কেরালার তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।