মধ্যপ্রদেশের একটি অপরিচিত গ্রামে জন্ম তাঁর। ছোটোবেলায় মধ্যপ্রদেশের এই অখ্যাত শিহর গ্রামেই একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কপিলের দৃষ্টিশক্তি। এই কপিল অবশ্য ভারতকে তিরাশির বিশ্বকাপ জেতানো কপিলদেব নিখঞ্জ নন। তিনি কপিল পারমার (Kapil Parmar)। চলতি প্যারালিম্পিক্স গেমসের (Paralympics 2024) ইতিহাসে জুডো থেকে ভারতের প্রথম পদক জিতলেন তিনি। এদিন মধ্যপ্রদেশের এই প্যারা জুডো অ্যাথলেট এদিন হারান ব্ৰাজিলীয় প্রতিপক্ষ এলিয়েল্টন ডি ওলিভেইরাকে। এদিন কপিলের জেতার সুবাদে ভারতের ঝুলিতে এসেছে মোট ২৫টি পদক।
মধ্যপ্রদশের শিহর গ্রামে জন্ম নেওয়া কপিলের (Kapil Parmar) জন্ম হয় একটি কৃষক পরিবারে। ছোটবেলায় গ্রামের একটি চাষের জমির পাশে খেলতে গিয়ে জলের পাম্পে হাত দিয়ে ফেলেন কপিল। আর সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পরে যান প্রতীক। এরপর ভোপালের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচ বছরের কপিলকে। এরপর ছ’মাস কোমায় ছিলেন তিনি। সেই অবস্থা থেকে মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরে আসেন মধ্যপ্রদেশের এই যুবক। তবে বেঁচে ফিরলেও এই আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কপিলের। এদিন প্যারিসে পুরুষদের ব্যক্তিগত ৬০ কেজি জে ওয়ান জুডো বিভাগে ব্রাজিলের এলিয়েল্টন ডি ওলিভেইরা-কে ১০-০ পয়েন্টে কার্যত উড়িয়ে দেন মধ্যপ্রদেশের প্যারাঅ্যাথলেট। এই বিভাগে তাঁরাই অংশ নেন, যাঁরা দৃষ্টিশক্তি হয় পুরো বা বেশিটাই হারিয়েছেন।
লাল বলের ক্রিকেটে এবার শ্রেয়সের মুখোমুখি সতীর্থ হর্ষিত রানা
কোমা থেকে বেঁচে ফিরে আসার পর জীবনে এক নতুন সংগ্রাম শুরু হয় কপিলের। বাবার পরামর্শেই ব্লাইন্ড জুডো’র প্রতি ঝোঁক জাগে তাঁর। তবে ছেলেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ট্যাক্সিচালক হিসাবে কাজ করা শুরু করেন কপিলের বাবা। এছাড়াও নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে কপিলকে। সংসারকে সাহায্য করার জন্য কপিল আর তাঁর ভাই একটি চায়ের দোকানও চালাতেন। আর চা বিক্রেতা সেই কপিল পারমারই আজ প্যারিসে (Paralympics 2024) ইতিহাস গড়ে গর্বিত করল ভারতকে।