লাল-হলুদ ক্লাবে ব্যারেটো, ইতিহাসে মুগ্ধ হয়ে লিখলেন নিজের অনুভব

ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি অধ্যায় হোসে রামিরেজ ব্যারেটো (Jose Barreto)। মোহনবাগান জার্সিতে বল পায়ে একাধিকবার চোখ ধাঁধানো মুহুর্তের সাক্ষী রেখেছেন আপামর ফুটবলপ্রেমী মানুষদের।…

Jose Barreto Visits East Bengal Club

ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি অধ্যায় হোসে রামিরেজ ব্যারেটো (Jose Barreto)। মোহনবাগান জার্সিতে বল পায়ে একাধিকবার চোখ ধাঁধানো মুহুর্তের সাক্ষী রেখেছেন আপামর ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। যা আজও মনে রেখেছে শহরবাসী। ডার্বি জয় হোক কিংবা কোনও খেতাব জয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাই সময়ের সাথে সাথে ময়দানে ওডাফা, সনির মতো বহু মাঠ কাপানো খেলোয়াড় দেখা গেলেও ব্যারোটা আজও থেকে গিয়েছেন বাগান সমর্থকদের মনের মণিকোঠায়।

Also Read | এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে গোয়া, জাত চেনাচ্ছেন সাদিকু

   

সময় বদলালে ও ব্যারেটোর প্রতি ভালোবাসা আজ ও অমলীন রয়ে গিয়েছে বাগান সমর্থকদের। তবে এসবের মাঝেই গত বুধবার সকলকে চমকে দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পরিদর্শনে গেলেন ময়দানের এই সবুজ তোতা। যা খুব একটা নজর এড়ায়নি লাল-হলুদ সমর্থকদের। লাল-হলুদে তাঁর আসার ছবি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যারেটোকে নিয়ে দেখা দিয়েছিল বহু জল্পনা। অনেকেই মনে করতে শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোনও দায়িত্বে হয়তো দেখা যেতে চলেছে ব্যারেটোকে। কিন্তু আদতে তেমন কিছুই নয়।

Also Read | ওডিশা ম্যাচে খেলবেন এই স্কটিশ তারকা, আপডেট বাগান শিবিরের

জানা গিয়েছে প্রতিপক্ষ দলের প্রাক্তন ফুটবলার হলেও লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক রয়েছে সবুজ তোতার। সেই সুবাদেই ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এসেছিলেন ব্যারেটো। পরবর্তীতে এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির হাতে লাল-হলুদ জার্সি তুলে দেন দেবব্রত সরকার। সেইসাথে ঘুরিয়ে দেখান গোটা ক্লাব তাঁবুতে। বাদ যায়নি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আর্কাইভ। যেদিকে নজর থাকে আপামর লাল-হলুদ জনতার। ক্লাবে পা রাখলে প্রত্যেকে অন্তত একবার হলেও ঘুরে দেখেন এই চত্বর। সেখানে ও যথেষ্ট বিস্ময়ের সাথে প্রতিটি জিনিস ঘুরে দেখলেন হোসে ব্যারেটো।

Also Read | হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ‘বিস্ফোরক’ মিকেল স্ট্যাহর

সেখানকার ভিজিটর বুকে তিনি লেখেন, ” আই অ্যাম আমেজড উইথ হোয়াট আই সি, গ্ৰেট পিস অফ হিস্ট্রি।” অর্থাৎ আমি যা দেখলাম তাতে আমি বিস্মিত, ইতিহাসের একটি বড় অংশ এখানে রয়েছে। তাঁর এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে খুশি করবে আপামর ইস্টবেঙ্গল জনতাকে।