Joni Kauko: পঞ্জাব ম্যাচের আগেই ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে মরিয়া কাউকো

বর্তমানে বাগান জনতার কাছে অন্যতম প্রিয় তারকা হয়ে উঠে এসেছেন জনি কাউকো (Joni Kauko)। গত মরশুমের মাঝ পথেই চোটের দরুন ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ফিনল্যান্ড…

Joni Kauko

বর্তমানে বাগান জনতার কাছে অন্যতম প্রিয় তারকা হয়ে উঠে এসেছেন জনি কাউকো (Joni Kauko)। গত মরশুমের মাঝ পথেই চোটের দরুন ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ফিনল্যান্ড ফিরে গিয়েছিলেন এই ফুটবলার। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনালে দল উঠলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে ম্যানেজমেন্ট। সাময়িক বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তীতে অনুশীলন শুরু করে দেন তিনি।

ফেরেন্দো জামানায় নিজেকে মেলে ধরা সম্ভব না হলেও সময়ের সাথে সাথে বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর তথা আইএসএলের অন্যতম সফল কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাতে‌। তারপর থেকেই পুরনো ছন্দে দেখা গিয়েছে গোটা দলকে।

   

এক্ষেত্রে এই স্প্যানিশ কোচের অন্যতম পছন্দ হিসেবে দলে সুযোগ পান কাউকো। বলতে গেলে মাঠে তার উপস্থিতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে দল। টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের শেষে কিছুটা ছন্দপতন হলেও দ্বিতীয় লেগের শুরু থেকেই ব্যাপক ছন্দে থেকেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে সহজ জয় ও উঠে এসেছে বাগানের।

বলতে গেলে একের পর এক ম্যাচে সহজ জয় এসেছিল তাদের। কিন্তু গত চেন্নাইয়িন ম্যাচে পরাজিত হতে হয় তাদের। ওয়েন কোয়েলের এই দলের বিরুদ্ধে জনি কাউকোর করা গোলে দল এগিয়ে থাকলেও তা বেশি সময় বজায় থাকেনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই সমতা ফেরায় দক্ষিণের এই দল। তারপর অতিরিক্ত সময় ব্যবধান বাড়িয়ে জয়। এই পরাজয় এখনো কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাগান সমর্থকরা।

তবে পুরনো সমস্ত কিছু ভুলে এখন ঘুরে দাঁড়ানোই চ্যালেঞ্জ বাগান ব্রিগেডের। আসলে গত ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকা সম্ভব হয়নি দলের ভরসাযোগ্য এই বিদেশী ফুটবলারের। যার প্রভাব ও এসেছে ব্যাপকভাবে। অজি ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও তা যথেষ্ট ছিল না। আসলে সেই ম্যাচ খেলতে গিয়েই সামান্য চোট আসে জনি কাউকোর। যার দরুন তাকে তুলে নিতে বাধ্য হন বাগানের সহকারী কোচ। তাই ম্যাচের পরের দিন অনুশীলনের পর ড্রেসিংরুমে পায়ের ম্যাসেজ নেন এই ফুটবলার। এমনকি অনুশীলন থেকে ফিরে যান অনেকটাই দেরিতে। আসন্ন পাঞ্জাব ম্যাচের আগেই নিজেকে যে সম্পূর্ণ ফিট করে নিতে চাইছেন কাউকো, তা কিন্তু বলাই চলে।