ইংল্যান্ডের পেস অস্ত্রের প্রধান মুখ তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্রড – আন্ডারসনের পরই তার পেস, বাউন্স আর ইয়র্কার করার প্রবণতা মুগ্ধ করেছে সমগ্র ক্রিকেটজগতকে। তবে গোটা ক্যারিয়ার জুড়ে তাঁর লড়াইটা হয়েছে মূলত ইনজুরির সাথে। এহেন চোটপ্রবন বোলার চলতি অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের (ENG vs AUS) প্রথম ম্যাচেও চোট পেয়ে খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামলেও সেভাবে ‘ম্যাজিক’ দেখাতে পারেনি তাঁর দ্রুতগতির ইয়র্কার। তাই পরপর দুটি ম্যাচ সহজেই জিতে নিয়েছে মিচেল মার্শের দল। তবে আজ দেশের মাটিতে ‘অজি’ ঝড় ঠেকাতে সেই আর্চারের ওপরই আস্থা রাখছেন ব্রিটিশ অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক।
ভারতের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বর্ডার গাভাসকার ট্রফি খেলার আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে এসেছে ‘ক্যাঙ্গারু’ বাহিনী। এই ট্রফিতে দুই দলের হয়েই অধিনায়কত্বে বদল এসেছে। প্যাট কামিন্সের বদলে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার নিয়েছেন মিচেল মার্শ। অপরদিকে ব্রিটিশ দলের দায়িত্বে এসেছেন নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটিতে জয়লাভ করে এগিয়ে আছে মিচেল মার্শের দল। অন্যদিকে বোলিং বিভাগের ‘অনভিজ্ঞতায়’ এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইংল্যান্ড দল। আজ আর্চারকে ভর করে দেশের মাটিতে সেই জয়ের আশাতেই রয়েছে ইংল্যান্ড।
কানপুরেই শচীনকে টপকানোর অপেক্ষায় বিরাট কোহলি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে একটি ১৫৪ রানের একটি চোখধাঁধানো ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জেতান ওপেনার ট্রাভিস হেড। ব্যাটার দের দাপটের পর বাদ যাননি বোলাররাও। দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে 8 উইকেট নিয়ে ব্রিটিশদের জয়ের আশা ভঙ্গ করেন পেসার মিচেল স্টার্ক। আজ রিভারসাইড গ্রাউন্ডে তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস হতে পারেন আর্চার। কারণ এই উইকেট অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ স্টেডিয়ামের মত। তাই এখানে বাউন্স ও গতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন ইংল্যান্ড স্পীডস্টার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ব্যাট হাতে এই সিরিজে এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাড়া জাগানো এই ক্রিকেটার এখনো পর্যন্ত পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এছাড়াও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যটার স্টিভ স্মিথও। তবে আজকের (ENG vs AUS) ম্যাচে হেড-লাবুশেনদের কতটা আটকাতে পারে আর্চারের ইয়র্কার সেটাই এখন দেখার বিষয়।