আগের সিজনে মুম্বাই সিটির হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি জয়েশ রানে (Jayesh Rane)। চোট আঘাতের পাশাপাশি অফ ফর্মে জর্জরিত ছিলেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। স্বাভাবিকভাবেই নয়া মরসুমে তাঁকে যে আর স্কোয়াডে রাখা হবে না সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সেইদিক নজরে রেখেই অনেক আগে থেকে এই ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। যা চূড়ান্ত হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত। সেই অনুযায়ী এই নয়া সিজনে ইস্পাত নগরীর এই দলের হয়ে খেলতে দেখা যেতে চলেছে জয়েশ রানেকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে তাঁর যোগদানের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে জামশেদপুর ম্যানেজমেন্ট।
বলতে গেলে এই নতুন সিজনে এবার নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ মহারাষ্ট্রের এই ফুটবলারের। এক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপকেই পাখির চোখ করছেন এই মিডফিল্ডার। সেই প্রসঙ্গে জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি সত্যিই জামশেদপুর এফসির সাথে ডুরান্ড কাপে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পরীক্ষা করার এবং প্রথম ডিভিশন লিগ শুরু করার আগে নিজের অবস্থান বুঝে নেওয়ার জন্য এটি আদর্শ টুর্নামেন্ট। মাস চারেক আগে আমি শেষবার মাঠে নেমেছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। তাছাড়া জামশেদপুর যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা এবং পরিবেশ প্রদান করে, তাতে আমি এবং আমাদের দল কাপ জিততে মুখিয়ে আছি।”
পাশাপাশি খালিদ জামিলের সঙ্গে পুনরায় খেলতে পারার প্রসঙ্গে আরও বলেন, ” আমরা গত ২০১৭ সালে একসাথে আই-লিগ জিতেছিলাম। তখন থেকেই, আমি স্থির করে ছিলাম যে সুযোগ পেলে আমরা আবার একদিন একসাথে কাজ করব। একজন খেলোয়াড় হিসেবে, আমি বছরের পর বছর ধরে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেইসাথে আমি খালিদ জামিলকে ও সফল হতে দেখেছি। তাঁর ভাবনা চিন্তা তাঁর স্টাইল আমাকে যথেষ্ট মুগ্ধ করে। আমার গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ও তাঁর সক্রিয়তা থেকেছে। তাছাড়া আমার ক্যারিয়ারে সবসময় যা আমাকে উৎসাহিত করেছে তা হল বিভিন্ন কোচ এবং সিস্টেমের অধীনে খেলার সুযোগ। আমি যে ক্লাবে যোগ দিয়েছি প্রতিটি ক্লাবই আমাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। তবে জয়ের মানসিকতা সর্বত্র থেকেছে।”
এবার এই নয়া ফুটবল ক্লাবের হয়ে নিজেকে আদৌও কতটা মেলে ধরতে পারেন সেদিকেই বিশেষ নজর থাকবে সকলের। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৪শে জুলাই থেকে ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরু করবে জামশেদপুর এফসি। যেখানে প্রথম ম্যাচেই তাঁদের লড়াই করতে হবে ত্রিভূবন আর্মি একাদশের সঙ্গে। তারপর ২৯ শে জুলাই এবং ৮ ই আগস্ট রয়েছে ম্যাচ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি এবং লাদাখ এফসি।