Jamshedpur FC: রেফারিং নিয়ে এবার বিষ্ফোরক জামশেদপুর দলের কোচ

বুধবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের শেষে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জামশেদপুরের (Jamshedpur FC) বিপক্ষে জিতে নেয় মোহনবাগান। ম্যাচ শুরুর কিছুটা সময় পরেই জামশেদপুরের কাছে পিছিয়ে…

Coach Scott Cooper

বুধবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের শেষে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জামশেদপুরের (Jamshedpur FC) বিপক্ষে জিতে নেয় মোহনবাগান। ম্যাচ শুরুর কিছুটা সময় পরেই জামশেদপুরের কাছে পিছিয়ে গিয়েছিল গতবারের আইএসএল জয়ীরা। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। খুব সহজেই গোল করে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। তারপর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষ দল ১০ জনে হয়ে গেলেও নিজেদের আক্রমণের ঝাঁঝ কমায়নি শুভাশিস ব্রিগেড।

যারফলে, নিজেদের দলের একাধিক ফুটবলার মাঠের বাইরে থাকলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে পয়েন্ট পেতে সমস্যা হয়নি মেরিনার্সদের। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে আলবেনিয়ান তারকা তথা আর্মান্দো সাদিকু, লিস্টন কোলাসো ও তরুণ তারকা কিয়ান নাসিরি। অন্যদিকে, জামশেদপুর দলের হয়ে গোল করেন সানান ও আমরি।

   

তবে প্রথমদিকে গোল করে এগিয়ে থাকলেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি জামশেদপুর দলের তরফে। উনত্রিশ মিনিটের মাথায় দেশের তরুণ তারকা সাহাল আব্দুল সামাদের অনবদ্য পাস থেকে গোল করে যান আর্মান্দো সাদিকু। যারফলে, সমতায় ফেরে পালতোলা নৌকা ব্রিগেড। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ১-১ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ও দেখা যায় সবুজ-মেরুন ঝড়। পঞ্চাশ ও তিয়াত্তর মিনিটের মাথায় উইঙ্গার লিস্টন কোলাসো ও পরবর্তীকালে মোহনবাগান দলের তরুণ তারকা কিয়ান নাসিরি গোল করেন জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে। তাদের গোলেই ৩-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় দল। শেষে জামশেদপুর দলের তরফ থেকে পেনাল্টির মাধ্যমে ব্যবধান কমানো হলেও আর জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে ম্যাচের রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন জামশেদপুর এফসি দলের কোচ স্কট কুপার।

পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে এসে রেফারিং নিয়ে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেন কোচ। এই বিদেশি কোচ বলেন, আজকের ম্যাচে মূলত যেই ফাউল থেকে দলকে পেনাল্টি দেওয়া হয় তা আদতে কোনোভাবেই পেনাল্টি হিসেবে ধরা যায় না। কারন ফাউলটি হয়েছিল বক্সের বাইরে। তাই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি নন তিনি। পাশাপাশি ম্যাচের একাধিক ফাউল নিয়ে ও সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সেইসাথে ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে ভিআর প্রযুক্তি চালু করার কথাও তোলেন একাধিকবার। তার মতে এই নয়া প্রযুক্তি ভারতে চালু হলে নিরেপেক্ষ ভাবে শেষ করা সম্ভব অধিকাংশ ফুটবল ম্যাচ।