খালিদ জামিলের তত্ত্বাবধানে গত সিজনে যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল জামশেদপুর এফসিকে (Jamshedpur FC)। সেবার ডুরান্ড কাপে খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই শুরু করেছিল ইস্পাত নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। প্রথমেই তাঁরা পরাজিত করেছিল মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়াকে। যা নিঃসন্দেহে ছিল প্রতিপক্ষ দল গুলির কাছে বড় ধাক্কা। পরবর্তীতে মুম্বাই সিটি এফসি ম্যাচে ও বজায় ছিল সেই ছন্দ। কিন্তু সেটা বজায় ছিল না পরবর্তীতে । যার প্রভাব পড়েছিল টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলে।
অন্যান্য শক্তিশালী দল গুলির তুলনায় নেমে আসতে হয়েছিল বেশ কিছুটা নিচে। কিন্তু টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় লেগে বদলে গিয়েছিল সমস্ত পরিসংখ্যান। একের পর এক ম্যাচে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল জর্ডান মারিরা। তারপর অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল জেরার্ড জারাগোজার বেঙ্গালুরু এফসিকে। মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী গোয়ার বিপক্ষে ও ছিল সেই ধারাবাহিকতা। যারফলে সুপার সিক্সে স্থান করে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।তারপর হুয়ান পেট্রো বেনালির শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে পরাজিত করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমিফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল ইস্পাত নগরীর এই দল।
কিন্তু সেখানেই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। লিগের প্রথম লেগের সেমিফাইনালে তাঁদের টেক্কা দেওয়া সম্ভব হলেও দ্বিতীয় লেগে তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। আপুইয়ার গোল বদলে দিয়েছিল সমস্ত কিছু। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালেই ছিটকে গিয়েছিল জামশেদপুর। তারপর কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলেও চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি। বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল বোরহা হেরেরাদের শক্তিশালী এফসি গোয়ার কাছে। তবুও নয়া সিজনে এই ভারতীয় কোচের উপরেই ভরসা রাখছে ম্যানেজমেন্ট।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ। এখন এই টুর্নামেন্ট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই অন্যতম লক্ষ্য দেশের শিল্প নগরীর এই ক্লাবের। সেই মর্মে এবার জার্মানপ্রীত সিংকে ফেরাল জামশেদপুর এফসি। একটা সময় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এলিট অ্যাকাডেমি থেকে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন পাঞ্জাবের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। পরবর্তীতে ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব থেকে শুরু করে চেন্নাইয়িন এফসির হয়ে আইএসএল খেলেছিলেন তিনি। তারপর যোগদান করেছিলেন জামশেদপুর এফসিতে। খেলে ও ছিলেন বহু ম্যাচ। কিন্তু চোটের কারণে খুব খেলতে পারেননি গত মরসুমে। তবে এবার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ করে দিল একবারের শিল্ড জয়ী দল।