ISL: জয়ের স্বপ্নে বিভোর জামশেদপুর 

লাল-হলুদ (ISL) তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর, জামশেদপুরে গিয়ে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন চিমা। ড্যানিয়েল চিমার কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল কলকাতার ক্লাব ও তাদের সমর্থকদের। তবে এসসি…

লাল-হলুদ (ISL) তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর, জামশেদপুরে গিয়ে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন চিমা। ড্যানিয়েল চিমার কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল কলকাতার ক্লাব ও তাদের সমর্থকদের। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গলে সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। লাল-হলুদ তাই তাঁকে ছেড়ে দেয়। জামশেদপুর এফসি তাদের স্ট্রাইকার নেরিজুস ভাল্সকিসকে ছেড়ে দেয় এবং ড্যানিয়েল চিমাকে তাঁর জায়গায় সই করায়। এই চুক্তি ক্লাব ও চিমা দু’জনের পক্ষেই লাভজনক হয়। নতুন জার্সি গায়ে মাঠে নামার পর থেকেই যেন নিজেকে ফিরে পান তিনি। লাল-হলুদ শিবির ছেড়েছিলেন দুই গোলের পুঁজি নিয়ে। জামশেদপুরের হয়ে বাকি ৭ গোল করেছেন তিনি। মোট গোলসংখ্যা তাঁর ৯। 

আজ আইলিগে প্রথম লেগের সেমিফাইনালে কেরালা ব্ল্যাস্টারের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে জামশেদপুর এফসি। ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠার রাস্তাটা অনেকটা পরিস্কার করে নিতে মরিয়া জামসেদপুর। আর সেমিফাইনালের আগে চিমাকে নিয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী কোচ। জামশেদপুরের কোচ আওয়েল কয়েল তাই জন্যেই বলেছেন, “কারা ওকে নিয়ে সন্দেহ করেছে জানি না। কিন্তু আমার মতো যারা অনেক দিন ধরে ফুটবলে রয়েছে, তারা জানে চিমা একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। যারা ওর দক্ষতা নিয়ে সন্দিহান, তারা হয়তো এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ওর মাত্র দু’টো গোলের জন্য এ কথা বলেছেন। দলের পারফরম্যান্সে অবদান রাখতে গেলে যে গোল করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। চিমা আমাদের দলে সেই কাজটাই করে, যাতে প্রমাণ হয় ওর মধ্যে যথেষ্ট গুণ রয়েছে।” 

   

বড় ম্যাচে নামার আগে চিমা বলছেন “সত্যিই শুরুটা খুব কঠিন হয়েছিল। তবে এখন কেমন চলছে, তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। আমি গর্বিত। খুব খারাপ সময়েও হাল ছেড়ে দিতে নেই। আমিও দিইনি। নিজেকে টেনে দাঁড় করিয়েছি এবং এই জায়গায় নিয়ে এসেছি। আসলে খারাপ সময় থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাল সময়ে ফেরা যায়।”