IPL : ব্যাটে দাপট ত্রিপাঠীর, মুম্বইকে হারিয়ে আশা জিইয়ে রাখল সানরা

কেকেআরের মতোই সানরাইজার্সের সামনে প্লে-অফের (IPL) পথটা বেশ কঠিন। তবে অঙ্কের বিচারে একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে। আর সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতেই হত…

কেকেআরের মতোই সানরাইজার্সের সামনে প্লে-অফের (IPL) পথটা বেশ কঠিন। তবে অঙ্কের বিচারে একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে। আর সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতেই হত তাদের। অবশ্য শুধু জয় নয়, রানরেট ভালো রাখতে ব্যবধানটাও বিশাল হতে হবে। অন্য দলের দিকে তো তাকিয়ে থাকতেই হবে, কিন্তু প্রথম শর্তটাই হল নিজেদের বাকি দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়। জিতলেও ব্যবধানটা বড় হল না সানদের। মুম্বইকে মাত্র ৩ রানে হারাল সানরাইজার্স।

সেই লক্ষ্যে এদিন মাঠে নেমেছিল কেন উইলিয়ামসন ব্রিগেড। টসে হারলেও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, মারকাটারি ইনিংস খেলে বড় রান করতেই হবে তাদের। সেই জন্য নিজে ওপেন করতে না নেমে অভিষেক শর্মার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন আর এক তরুণ প্রিয়ম গার্গকে। অভিষেক হতাশ করলেও, গার্গ কিন্তু আস্থার মর্যাদা দিয়েছেন। রাহুল ত্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন তিনি। ২৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে গার্গ ফেরার পর ত্রিপাঠীকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান। ২২ বলে ৩৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক। তবে ত্রিপাঠী এদিন সকলকেই ছাপিয়ে গিয়েছেন।

চলতি আইপিএলে আরও একবার জ্বলে উঠল ত্রিপাঠীর ব্যাট। মাত্র ৪৪ বলে ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে গেলেন ২০০-র কাছাকাছি। শেষ দিকে মারক্রাম, উইলিয়ামসন, সুন্দরদের ব্যর্থতায় ৬ উইকেটে ১৯৩ রানে থমকে যায় সানদের ইনিংস। মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে একমাত্র রামনদীপ সিং ছাড়া কেউ নজর কাড়তে পারেননি। তিনি তিনটি উইকেট পান।

জবাবে মুম্বইও শুরুটা দারুণ করে। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষাণ মারমুখী মেজাজে ব্যাট দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। অধিনায়কের দেখানো পথে হাঁটেন ঈশানও। ৩৪ বলে ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি। এরপর তিলক, স্যামসরা ব্যর্থ হলেও, দলকে জেতানোর মরিয়া প্রচেষ্টা চালান টিম ডেভিড। মাত্র ১৮ বলে ৪৬ রান করে দলকে একেবারে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে চলে আসেন তিনি।

১৩ বলে যখন মাত্র ১৯ রান বাকি ছিল, তখন স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখার জন্য রানআউটের কবলে পড়েন সিঙ্গাপুরে জন্ম নেওয়া এই অজি তরুণ। সেইসঙ্গে জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের। উমরান মালিক এদিনও তি উইকেট পান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৯০ রানে থমকে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস।