IPL : বিধ্বংসী শতরান বাটলারের, মুম্বই বধ রাজস্থানের

শনিবার ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচে (IPL) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals vs Mumbai Indians)। জস বাটলারের অতিমানবীয় ইনিংসে ভর করে ২৩ রানে…

শনিবার ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচে (IPL) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals vs Mumbai Indians)। জস বাটলারের অতিমানবীয় ইনিংসে ভর করে ২৩ রানে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে নিল সঞ্জু অ্যান্ড কোং। টানা দুই ম্যাচেই হারের মুখ দেখল রোহিতের দল।

টসে জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত। তবে এই সিদ্ধান্ত যে পিচের চরিত্রের জন্য নয়, তা পরিষ্কার করে দেন হিটম্যান। টসের পর তিনি জানান, শুধুমাত্র রান তাড়া করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এরপরই রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অর্থাৎ, এই পিচ যে ব্যাটিংয়ের স্বর্গরাজ্য, তা দুই অধিনায়কের বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়।

এই বিষয়টির উপযুক্ত প্রমাণ অবশ্য মাঠে দিলেন জস বাটলার। প্রথম ক্রিজে সেট হতে কিছুটা সময় নিলেন। কারণ শুরুতে যশস্বী জসওয়াল, দেবদত্ত পালিক্কালদের উইকেট খুইয়ে বসেছিল রাজস্থান। তবে পালিক্কাল ক্রিজে থাকার সময়ই নিজের ব্যাটিংকে টপ গিয়ারে নিয়ে চলে যান বাটলার। বাসিল থাম্পির এক ওভারে ২৬ রান নিয়ে বড় ইনিংসে আভাস দিয়ে যান তিনি। প্রথমে সঞ্জু এবং পরে শিমরন হেটমেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর টানতে থাকেন ইংরেজ তারকা। হেটমেয়ার মারমুখী মেজাজে মাত্র ১৪ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। শেষ ১০ রানে পাঁচ উইকেট না খোয়ালে ২০০-র গণ্ডি টপকে যেতে পারত রাজস্থান। বুমরার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৮ বলে ১০০ রান করে যান বাটলার। তাঁর ইনিংস সাজানো পাঁচটি ছক্কা এবং ১১টি চার দিয়ে।

মুম্বইয়ে সবথেকে সফল বোলার জসপ্রীত বুমরা। চার ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে তিনটি উইকেট নেন তিনি। টাইমাল মিলসও তিনটি উইকেট দখল করেন। কায়রন পোলার্ড পান একটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে ১৯৩ রান তোলে রাজস্থান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তিন নম্বরে নেমে ফের ব্যর্থ হন আনমলপ্রীত সিং। সূর্যকুমার যাদবের জায়গায় সুযোগ পেয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন তিনি। সমর্থকদের ধারণা, পরের ম্যাচে দলে ফিরবেন সূর্য। তখন আনমলপ্রীতের ওপরেই যে কোপ পড়তে চলেছে, তা হয়তো সকলেই বুঝতে পেরে গিয়েছেন। দুই উইকেট হারানোর পরও দমে যায়নি আইপিএলের সফলতম দলটি। ফর্মে থাকা ঈশান কিষাণ এবং তরুণ তারকা তিলক বর্মা দারুণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুম্বইয়ের ইনিংস। প্রথম ম্যাচের মতো আবারও অর্ধশতরান উপহার দেন ঈশান। বোল্টের বলে প্যাভিলিয়নে যাওয়ার আগে ৪৩ বলে ৫৪ রান করেন তিনি।

পিছিয়ে ছিলেন না তিলক বর্মাও। আইপিএল কেরিয়ারে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন ১৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি তারকা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৩৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে যান তিলক। তাঁর চওড়া ব্যাটে ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মুম্বই। কিন্তু পরপর দুই বলে টিম ডেভিড এবং ড্যানিয়েল স্যামসকে আউট করে মুম্বইয়ের সেই স্বপ্ন আঘাত হানেন যজুবেন্দ্র চাহাল। পোলার্ডের সামনে ‍‘আন্দ্রে রাসেল’ হওয়ার সুযোগ থাকলেও, পারেননি তিনি। বাইশগজে ঝড় তুলে মুম্বইকে একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। কিন্তু এদিন ছিলেন নিষ্প্রভ। ২২ রান করলেও, নিয়েছেন ২৪টি বল। যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশ বেমানান। বিশেষ করে পোলার্ডের মতো ফিনিশারের থেকে এরকমটা আশা করাই যায় না। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানে থমকে যায় রোহিত ব্রিগেডের ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে চাহাল ও সাইনি দুটি করে উইকেট নেন।