IPL 2022: বিফলে রায়াড়ুর লড়াই, গব্বরের ব্যাটে ফের জয় পাঞ্জাবের

প্রথম সাক্ষাতে পাঞ্জাব কিংসের ( Punjab Kings) কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings)। দুই কিংসের লড়াইয়ে শেষ পরিণতি একই থাকল।…

Punjab Kings look to bounce back against inspired Chennai Super Kings

প্রথম সাক্ষাতে পাঞ্জাব কিংসের ( Punjab Kings) কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings)। দুই কিংসের লড়াইয়ে শেষ পরিণতি একই থাকল। কিন্তু রায়াড়ুর সৌজন্যে মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে উত্তেজনার পারদটা ছিল বেশ চড়া। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন শিখর ধাওয়ানই। চেন্নাইকে ১১ রানে হারাল পঞ্জাব।

টসে জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠান জাদেজা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দিতে পারেননি মুকেশ চৌধুরী, প্রিটোরিয়াসরা। শুরুটা অবশ্য বেশ মন্থর ভাবে করেছিলেন শিখর ধাওয়ান ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ধীরে ধীরে স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও, লক্ষ্যে সফল হননি পাঞ্জাব অধিনায়ক। ২১ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যা বেশ বেমানান।

এরপর অবশ্য আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি পাঞ্জাবকে। ভানুকা রাজাপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন ধাওয়ান। প্রতিযোগিতার প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাট করেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না রাজাপক্ষ। জনি বেয়ারস্টোর কাছে জায়গা হারাতে হয়েছিল তাঁকে। এদিন একজন বিদেশি বোলারের পরিবর্তে লঙ্কান তারকাকে ফের প্রথম একাদশে আনে পাঞ্জাব টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভোলেননি রাজাপক্ষ। ৩২ বলে ৪২ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে দলকে বড় রানের স্বপ্ন দেখিয়ে দিয়ে যান তিনি। সেইসঙ্গে ধাওয়ান-রাজাপক্ষে জুটির দাপটে সেভাবে নিজেদের ক্যা্রিশমা দেখানোর সুযোগ পাননি লিভিংস্টোন, বেয়ারস্টোরা। তবুও ৭ বলে ১৯ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলে যান লিভিংস্টোন। বেয়ারস্টো ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩ বলে করেন ৬ রান।

Punjab Kings look to bounce back against inspired Chennai Super Kings

৯টি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন গব্বর। তাঁর দুরন্ত ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট খুইয়ে ১৮৭ রান তোলে পাঞ্জাব কিংস।

জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সিএসকে। রবিন উথাপ্পা, মিচেল স্যান্টনার, শিভম দুবেরা চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় চেন্নাই। তারপর অবশ্য রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং অম্বাতি রায়াড়ুর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে গায়কোয়াড়ের মধ্যে প্রথম থেকেই একটা জড়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৩০ রান করে আউট হন তিনি। রায়াড়ু কিন্তু এদিন ছিলেন স্বমেজাজে। রাহুল চাহারকে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন এই অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার। ওয়াংখেড়ের বাইশগজে রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে থাকতে হয় রায়াড়ুকে। দলকে জিতিয়ে তাঁর মাঠ ছাড়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দেন রাবাডা। প্রোটিয়া পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে অবশ্য ৩৯ বলে মারকাটারি ৭৮ রানের ইনিংস খেলে যান রায়াড়ু। সাতটি চারের পাশাপাশি ছটি ওভার বাউন্ডারিও রয়েছে তাঁর নামের পাশে লেখা।

প্রতিদিন অসম্ভব সম্ভব হয় না। ধোনি পারেননি আরও একবার নিজের ফিনিশিং দক্ষতা দেখাতে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ঋষি ধাওয়ানের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মাহি। কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলে এমএসডি ক্যাচ আউট হতেই জয়ের ক্ষীণ আশাটুকু নিভে যায় চেন্নাইয়ের। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট খুইয়ে ১৭৬ রানে থমকে যায় সিএসকের ইনিংস।