IPL 2022: ওয়াংখেড়েতে বিরাট গর্জন, গুজরাটকে হারিয়ে দিল্লিকে চাপে রাখল আরসিবি

বুধবার রিঙ্কু সিং পারেননি অসাধ্য সাধন করতে। হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কেকেআরের। তবে নাইট সমর্থকদের সেই আফসোস কিছুটা হলেও কমলো পরের দিন। বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স…

Gujarat Titans lost to RCB by 8 wickets

বুধবার রিঙ্কু সিং পারেননি অসাধ্য সাধন করতে। হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কেকেআরের। তবে নাইট সমর্থকদের সেই আফসোস কিছুটা হলেও কমলো পরের দিন। বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) জয় পাওয়ায়। কারণ, আরসিবি জেতায় টুর্নামেন্টের চতুর্থ দল হিসাবে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছল তারা। কেকেআর লখনউকে হারালেও ১৪ পয়েন্টে পৌঁছত। তাই বুধবার নাইটরা জিতলেও পরদিন তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত। এদিন ৮ বল বাকি থাকতে গুজরাট টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারাল আরসিবি।

এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট। ম্যাক্সওয়েলের একটি বাজপাখি সুলভ ক্যাচ শুভমন গিলকে শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরায়। ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে ম্যাথু ওয়েড জুটি বাধেন। ম্যাক্সওয়েলের বলে লিগবিফোর হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ওয়েড। বল ব্যাটে লেগেছে, এমনই দাবিতে চোখেমুখে ফুটে উঠছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। কিন্তু কোথায় কী! তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তেও এই অজি উইকেটরক্ষকের বিপক্ষে যায়। তবুও বিষয়টি মানতে পারেননি তিনি। এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছাড়েন যে, ড্রেসিংরুমেও তার প্রতিফলন ঘটে। জানা গিয়েছে, ড্রেসিংরুমে রীতিমতো ভাঙচুর চালান ওয়েড।

ঋদ্ধি কিন্তু আর পাঁচটা দিনের মতো নিজের ছন্দে এগিয়ে চলেছিলেন। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি শিকার হয়ে রান আউটের কবলে পড়েন এই বঙ্গতনয়। করেন ৩১ রান। হার্দিক অবশ্য অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে টেনে নিয়ে যান। ৪৭ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ডেভিড মিলারও (২৫ বলে ৩৪) তাঁকে সঙ্গ দেন। রাহুল তেওয়াটিয়া ব্যর্থ হলেও, শেষ দিকে রশিদ খান ব্যাট হাতে একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। মাত্র ৬ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫ উইকেট খুইয়ে ১৬৮ রান তোলে গুজরাট টাইটান্স।

Advertisements

জবাবে আরসিবির দুই ওপেনারই দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে চলে যান। ১১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেরেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি (৩৮ বলে ৪৪)। কোহলি এদিন ছিলেন বিরাট মেজাজে। যাবতীয় তর্জন-গর্জনের আস্ফালন ঘটিয়ে গুজরাটের ছুড়ে ফেলে দিলেন আরব সাগরের তীরে। রশিদ খানের প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়েই অবশ্য বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন ম্যাক্সি। আফগান স্পিনারের গুগলি বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। বল লাগে উইকেটে, জ্বলে ওঠে আলোও। কিন্তু বেল নিজের জায়গা থেকে নড়েনি। উলটে বাই চার হয়ে যায় সেটি। এদিন ভাগ্য দেবতাও হয়তো বিরাটদের সঙ্গেই ছিল। ৫৪ বলে ৭৩ রান করে বিরাট ঝড় যখন থামল, তখন ম্যাচ আরসিবির হাতের মুঠোয়। বাকি কাজটি দীনেশ কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে সেরে ফেলেন ম্যাক্সি (১৮ বলে অপরাজিত ৪০)।

১৬ পয়েন্টে পৌঁছলেও অবশ্য প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি আরসিবির। বিরাটদের ভাগ্য ঝুলে রইল দিল্লি বনাম মুম্বই ম্যাচের ওপর। সেই ম্যাচে দিল্লি হারলে প্লে-অফের টিকিট পেয়ে যাবে ব্যাঙ্গালোর। তবে পন্থরা জিতলে রানরেটের বিচারে অনেকটা এগিয়ে থাকায় তারাই যাবে প্লে-অফে। এছাড়া চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে খুবই বিশ্রী ভাবে রাজস্থান রয়্যালস হারলে সুযোগ চলে আসবে বিরাটদের সামনে। নাহলে ১৬ পয়েন্ট নিয়েও বিদায় নিতে হবে আরসিবিকে।