IPL 2022: অখ্যাত মুকেশের বা স্যামসের দাপট ছাপিয়ে শিরোনামে ফিনিশার মাহি

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল চেন্নাই (Chennai)। সৌজন্যে এমএসডি। মুম্বইয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন মাহি একাই। লিগ টেবিলে সবার…

Dhoni, Bravo key for Chennai in 156 chase

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল চেন্নাই (Chennai)। সৌজন্যে এমএসডি। মুম্বইয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন মাহি একাই।

লিগ টেবিলে সবার নীচে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে জৌলুসের কোনও খামতি ছিল না। কারণ, দ্বৈরথটা ছিল আইপিএলের দুই সফলতম দলের। যদিও এবারের আইপিএলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। আর চারবারের বিজেতা চেন্নাই সুপার কিংস জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচে। এদিন সেই সংখ্যাটি বাড়ল। কিন্তু খাতা খুলল না মুম্বইয়ের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বইকে ৩ উইকেটে হারাল চেন্নাই। আর এই জয়ের নেপথ্য নায়ক অবশ্যই মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে মুকেশ কুমারের কৃতিত্বও বিন্দুমাত্র কম নয়।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয় মায়ানগরীর শিবিরে। প্রথম ওভারেই দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষাণকে প্যাভিলিয়নে পাঠান অখ্যাত মুকেশ চৌধুরি। বাঁহাতি পেসার যে ভাবে ঈশানকে বোল্ড করলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর ইয়ার্কার সামলাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েই গেলেন দেশের এই তারকা উইকেটরক্ষক। তবে থেমে যাননি মুকেশ। দারুণ ফর্মে থাকা ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকেও ক্রিজে সেট হওয়ার আগে সাজঘরে পাঠান তিনি। তিন ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন মুম্বইয়ের প্রথম তিনটি উইকেট।

২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়ে যায় মুম্বই। কিন্তু সূর্যর ব্যাট জ্বলে ওঠার আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন সমর্থকরা। একেবারে হতাশ করেননি সূর্যকুমার। অন্তত প্রাথমিক বিপর্যয়টুকু সামাল দিয়েছেন। ৩২ রান করে ফেরেন তিনি। তবে আলাদা ভাবে প্রশংসা করতেই হবে তিলক বর্মার। দলের এই ‍‘দুঃসময়’-এ প্রায় প্রতি ম্যাচেই বুক চিতিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন এই বাঁহাতি। ১৯ বছরের তরুণ তুর্কি যদি এদিন রুখে না দাঁড়াতেন, তাহলে হয়তো বড়সড় লজ্জার মুখে পড়তে হত মুম্বইকে। শেষ পর্যন্ত ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক। আর দলকে পার করে দেন দেড়শো রানের গণ্ডি। ৭ উইকেট উইকেট ১৫৫ রান তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়েরও ভালো হয়নি। প্রথম বলেই রুতুরাজ গায়কোয়াডকে ফেরান ড্যানিয়েল স্যামস। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মিচেল স্যান্টনার তাঁর দ্বিতীয় শিকার হয়ে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে দুই অভিজ্ঞ অম্বাতি রায়াডু এবং রবিন উথাপ্পা প্রাথমিক ধাক্কা সামলান। উদানকাটের বলে সাজঘরে যাওয়ার আগে মূল্যবান ৩০ রান করে যান উথাপ্পা। শিভম দুবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ফের মুম্বইয়ের ত্রাতা হয়ে যান স্যামস। এখানেই শেষ নয়। রায়াডু যখন ধীরে ধীরে সিএসকে-কে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় আবারও স্যামস মুম্বইকে ম্যাচে ফেরান। ৩৫ বলে ৪০ রান করে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রায়াড়ু। একাই চারটি উইকেট নিয়ে নিজের স্পেল শেষ করেন স্যামস। সেইসঙ্গে মুম্বইয়ের জয়ও প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন এই অলরাউন্ডার।

জাদেজা ব্যর্থ হওয়ার পর প্রিটোরিয়াসকে নিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন মাহি। কিন্তু সফল হননি। ১৪ বলে ২২ করে শেষ ওভারে প্রিটোরিয়াস ফিরতেই জয়ের আশা প্রায় নিভে যায় তাদের। শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। তৃতীয় বলে উনাদকাটকে ছক্কা হাঁকান ধোনি। পরের বলে চার। শেষ বলে জয়ের জন্য চার রান প্রয়োজন ছিল সিএসকের। ক্যাপ্টেন না থাকলেও তিনি যে কতটা ‍‘কুল’, তার প্রমাণ দিলেন আবার। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে ফিনিশার মাহি চেন্নাইয়ে এনে দিলেন দ্বিতীয় জয়। ১৩ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি।