Mohammedan SC: ইনভেস্টর ইস্যু নিয়ে ডামাডোল পরিস্থিতি মহামেডানে, আসরে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী?

গত মাসের শেষের দিক থেকেই দলের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে সাদা-কালো (Mohammedan SC) ব্রিগেড। গতবছর থেকেই দলের শেয়ার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনমালিন্য দেখা দিয়েছিল উভয়ের মধ্যে। তবে এবার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে মনমালিন্য দেখা দিলেও এতটাই গুরুতর যে ক্লাবের সঙ্গে এবার সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল।

Mohammedan SC

গত মাসের শেষের দিক থেকেই দলের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে সাদা-কালো (Mohammedan SC) ব্রিগেড। গতবছর থেকেই দলের শেয়ার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনমালিন্য দেখা দিয়েছিল উভয়ের মধ্যে। তবে এবার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে মনমালিন্য দেখা দিলেও এতটাই গুরুতর যে ক্লাবের সঙ্গে এবার সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল।

অথচ এই লগ্নিকারী সংস্থার আগমনেই খুশি ফিরেছিল রেড রোডের তাঁবুতে।বহু দিনের প্রতীক্ষার পর কলকাতা লিগ এসেছিল মহামেডানে। ভালো পারফরম্যান্স ও করতে শুরু করেছিল আইলিগ ও ডুরান্ড কাপে। তবে বহুদিন যাবত ক্লাব চালানোর ক্ষেত্রে সাবেক কর্তাদের তীব্র অসহযোগিতা ও চরম অপেশাদারিত্ব কে হাতিয়ার করেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে এই লগ্নিকারী সংস্থা।

   

তবে সাংবাদিকদের তরফ থেকে ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস সহ অন্যান্য কর্তাদের কে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাদের তরফে জানানো হয়, “আমরা সবাই মিলে বৈঠকে বসব। তারপরেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি সমস্যার সমাধান আসবে।” তবে সেটা আদৌ কতটা ক্লাবের অনুকূলে যায় সেটাই বড় প্রশ্ন।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামী ২৭ তারিখ ক্লাবের লগ্নিকারী সংস্থা তথা বাঙ্কারহিলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে মহামেডানের সাবেক কর্তারা। তারপরেই হয়ত পরিষ্কার হয়ে যাবে সমস্ত কিছু। তবে যতদূর শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের সঙ্গে ইনভেস্টরের কোন্দল লেগে থাকলেও তার কোনো প্রভাব নাকি পড়বে না আগামী মরশুমের দল গঠনের ক্ষেত্রে। তবে এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন মহল থেকে জানা যাচ্ছে, তলে তলে বাঙ্কারহিলের বিকল্প খোঁজার কাজ ও নাকি শুরু করে দিয়েছে ক্লাবের কর্তারা।

তবে প্রয়োজন পড়লে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন সাদা-কালো কর্তারা। উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরে ইনভেস্টর সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিল লাল-হলুদ কে। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পথের দিশা খুঁজে পায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমবার শ্রীসিমেন্ট ও পরবর্তীতে তাঁর সক্রিয়তার ফলেই ইমামির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে লাল-হলুদ। তাই সেই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই আগামী দিনে সরকারের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবতে পারে ব্ল্যাকপেন্থাররা।