পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল, সোমবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে সদ্য কলকাতা লিগ জয়ী ফুটবল দল তথা মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে জাভিয়ের সিভেরিও টোরো,আন্তোনিও লুকাস পার্দো, ভিপি সুহের ও নিশু কুমার। ম্যাচের প্রথম ৬০ মিনিট দলের পাঁচজন বিদেশি নিয়েই খেলে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
অন্যদিকে, ম্যাচের প্রথমার্ধে মহামেডান স্পোর্টিং দলের কোনো বিদেশি ফুটবলারদের দেখা না গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হয় এডি হার্নান্দেজকে। বলতে গেলে আজ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই তুল্যমূল্য লড়াই করতে দেখা যায় মহামেডান দলকে। তবে শেষ পর্যন্ত জয় পায় মশাল ব্রিগেড।
তবে এই প্রস্তুতি ম্যাচে খুব একটা দাগ কাটতে দেখা যায়নি মহামেডান স্পোর্টিং দলের তরুণ ফরোয়ার্ড ডেভিড লালসাঙ্গাকে। উল্লেখ্য, এবারের ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি কলকাতা লিগের মতো ফুটবল টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার ভূমিকায় উঠে এসেছিলেন এই তরুণ তারকা। তবে এই ম্যাচে একেবারেই অফ কালার থাকলেন তিনি। আসলে দলের প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই হয়ত কিছুটা চিন্তা মুক্ত হয়ে খেলেছেন এই ফুটবলার।
এছাড়াও সাদা-কালো শিবিরের নয়া বিদেশি তারকা হার্নান্দেজকে ও দেখা যায় কিছুটা চিন্তা মুক্ত হয়ে খেলতে। আসলে সকলের লক্ষ্য আগত টুর্নামেন্টের ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করা। আগামী তিন তারিখ নিজেদের ঘরের মাঠে শিলং লাজং এফসির মুখোমুখি হবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অন্যদিকে, আগামী ৪ তারিখ নিজেদের ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্স দলের মুখোমুখি হবে লাল-হলুদ ফুটবল দল।
তবে তার আগেই দেখা দিল চোট আঘাতের সমস্যা। গতকাল ম্যাচ খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পান লাল-হলুদ উইঙ্গার নন্দকুমার শেখর। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, চোট পেয়েছেন দলের এই দাপুটে তারকা। পাশাপাশি চোট এসেছে মহামেডানের তরুণ ফুটবলার অভিজিতের। চোট আসার পরেই দুই দলের দুই ফুটবলারদের তুলে নেন কোচেরা। তবে যতদূর জানা গিয়েছে, খুব একটা গুরুতর চোট নেই নন্দকুমারের। খুব শীঘ্রই ফিট হয়ে উঠবেন তিনি।