মাস কয়েক আগেই মানোলো মার্কুয়েজের (Manolo Marquez) হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সেই সুবাদে এই স্প্যানিশ কোচের তত্ত্বাবধানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ খেলতে নেমেছিল ব্লু-টাইগার্সরা। যেখানে প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী মরিশাসের বিপক্ষে আটকে যেতে হয়েছিল গুরপ্রীত সিং সিন্ধুদের। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। তবে সিরিয়া ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল সকলের।
কিন্তু সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি মনবীর সিং থেকে শুরু করে সাহাল আব্দুল সামাদরা। গত সোমবারের এই ম্যাচে ৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে ভারতীয় ফুটবল দলকে। ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও একাধিকবার আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন ভারতীয় ফুটবলাররা। কিন্তু গোলের মুখ খোলা আদতে সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয় করে শক্তিশালী সিরিয়া দল। গত কয়েক সিজন ধরে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল ভারতীয় ফুটবলারদের।
লেবাননের মতো একাধিক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দলকে হারিয়ে এই খেতাব ধরে রেখেছিল ব্লু-টাইগার্সরা। কিন্তু মানোলো জামানার শুরুতেই ছেদ পড়ল এই সাফল্যে। যা নিয়ে নিজেও খুব একটা খুশি নন এই স্প্যানিশ কোচ। জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” ম্যাচের প্রথমার্ধ নিয়ে আমি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিলাম। আমাদের ফুটবলাররা যথেষ্ট চাপে ছিল। যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সে। প্রথম গোলটি হজম করার পর সেটি এড়ানো যেত।”
তবে দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, ” দলের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় আমি সন্তুষ্ট। শেষ পর্যন্ত যে ফলাফল থেকেছে সেটায় খেলার বাস্তব প্রতিফলন কার্যত ফেলেনি। আমাদের ছেলেরা গোল করার সুযোগ তৈরি করেছিল। বিরতির পর খেলোয়াড়দের মনোভাবে যথেষ্ট বদল ঘটেছিল। আমরা যথেষ্ট সাহসের সাথে লড়েছি। একাধিকবার ব্যবধান কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে সিরিয়ায় অনেক ভালো ফুটবলার আছে। প্রতি আক্রমণে তাঁরা আমাদের পরাজিত করেছে। গোটা ম্যাচ জুড়ে তাঁদের অনেক সুযোগ ছিল।”