IND vs SA: ২০০-র ওপর রান তুলেও হার ভারতের, কাঠগড়ায় ডিআরএস

IND vs SA:হার দিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের অধ্যায় শুরু করলেন ঋষভ পন্থ। ২০০-র ওপর রান তুলেও হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। একেবারে পাটা পিচে ব্যাট হাতে…

South Africa to seven-wicket win

IND vs SA:হার দিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের অধ্যায় শুরু করলেন ঋষভ পন্থ। ২০০-র ওপর রান তুলেও হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। একেবারে পাটা পিচে ব্যাট হাতে প্রায় সকলেই নজর কাড়লেন। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভারতকে ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে হারাল প্রোটিয়ারা।

এদিন টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে রুতুরাজ গায়কোয়াড শুরুটা মন্দ করেননি। কিন্তু ১৫ বলে ২৩ করে থামেতে হয় তাঁকে। এরপর শ্রেয়স আয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তোলে ঈশান কিষাণ। মাত্র ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস উপহার দেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ২৭ বল খেলে নাইট অধিনায়ক শ্রেয়সের অবদান ৩৬। অধিনায়ক ঋষভ পন্থও ১৬ বলে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তবে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে কামব্যাক করা হার্দিক পান্ডিয়াকে দেখে বেজায় খুশি ভারতীয় সমর্থকরা। পুরনো হার্দিকের ঝাঁজ ফিরে পাওয়া গেল হার্দিকের ব্যাটে। মাত্র ১২ বলে ৩১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন এবারের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভর করেই ২০০-র গণ্ডি টপকে যায় টিম ইন্ডিয়া। ৪ উইকেটে করে ২১১ রান।

বল হাতেও শুরুটা ভালোই করেছিল রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং কুইন্টন ডিকককে ক্রিজে সেট হওয়ার সুযোগ দেননি অক্ষর-ভুবনেশ্বররা। প্রিটোরিয়াস ১৩ বলে ২৯ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলে ফিরে যান। কিন্তু এরপরই ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে টেনে নেয় প্রোটিয়া বাহিনী। আইপিএলে দুরন্ত ফর্ম দেশের জার্সিতেও বজায় রাখলেন ডেভিড মিলার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন রুসি ভ্যান ডার দুসেন। আইপিএলের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ পাননি দুসেন। কিন্তু এদিন জাতীয় দলের হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করে যেন রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষকে নীরবে জবাব দিলেন তিনি। আভেশ খানের বলে তাঁর একটি শিশুসুলভ ক্যাচ মিস করেন শ্রেয়স। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি দুসেনকে। শুরুতে থিতু হওয়ার কিছুটা সময় নিলেও, শেষে জ্বলে ওঠে তাঁর ব্যাট। অন্যদিকে, মিলার যেন ড্রেসিংরুমে সেট হয়েই ক্রিজে এসেছিলেন। প্রথম বল থেকেই আক্রমণের পথ বেছে নেন কিলার মিলার। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন দুসেন। ৩১ বলে মিলারের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান।

হাইস্কোরিং ম্যাচেও অবশ্য বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। ফের কাঠগড়ায় ডিআরএস। ম্যাচের যখন মাত্র ৮ বল বাকি ছিল, তখন হর্ষলকে সুইপ মারতে গিয়ে বল পায়ে লাগে দুসেনের। অনফিল্ড আম্পায়ার লেগবিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি। বাধ্য হয়ে রিভিউ নেন পন্থ। রিভিউতে পরিষ্কার দেখা যায়, বলের সঙ্গে ব্যাটের কোনও সংযোগ নেই। এবং বলটি সরাসরি মিডল স্টাম্প ভেঙে দিত। তবুও ‍‘আম্পায়ারস কল’-এ রক্ষা পান দুসেন। যুক্তি, স্টাম্পের থেকে বেশ কিছুটা দূরে বলটি হিট করেছিল দুসেনের পায়ে! বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এটিকে হাস্যকর আখ্যা দিয়েছেন।