এই ফুটবল মরসুমে ও একেবারেই ছন্দে ছিল না হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC)। আইএসএলের শুরুতে ভারতীয় কোচ থাংবোই সিংটোর তত্ত্বাবধানে সাফল্য পেতে তৎপর ছিল নিজামের শহরের এই ফুটবল ক্লাব। সেজন্য তাঁর নির্দেশ মতোই দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের সই করিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। সেইসাথে অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয় দেশের তরুণ তারকা অ্যালেক্স সাজিকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দল গঠনের ফলে প্রাক মরসুম প্রস্তুতির খুব একটা সময় পায়নি হায়দরাবাদ। যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সে। তবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। তবে থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা।
পরবর্তীতে নর্থইস্ট ইউনাইটেড থেকে শুরু করে একের পর এক শক্তিশালী দলের কাছে আটকে যেতে হয় একবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের। তবে সিজন জুরে দলের খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও একক দক্ষতায় সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এডমিলসন কোরিয়ার পাশাপাশি স্টেফান সাপিচের মতো ফুটবলাররা। তবে সময়ের সাথে সাথেই বদলেছে পরিস্থিতি। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স থাকায় আইএসএলের মাঝপথেই থাংবোই সিংটোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ম্যানেজমেন্ট। পরবর্তীতে শামিল চেম্বাকাথের তত্ত্বাবধানে লড়াই করতে শুরু করে দল। এই মরসুমটা খুব একটা ভালো না হলেও এখন থেকেই নয়া সিজনের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাব।
এক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিভাদের পাশাপাশি একাধিক হাইপ্রোফাইল বিদেশিদের দিকে নজর রয়েছে নিজামের শহরের এই ফুটবল দলের। যার মধ্যে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে ক্যালাম টিমিন্সের নাম। বর্তমানে এ লিগের ফুটবল ক্লাব নিউক্যাসল জেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বছর পঁচিশের এই তারকা। ইতিমধ্যেই দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন প্রায় তেইশটি ম্যাচ। যার মধ্যে দুইটি অ্যাসিস্ট রয়েছে এই ফুটবলারের। সবদিক নজরে রেখেই তাঁকে দলে টানতে মরিয়া হায়দরাবাদ এফসি।
কিন্তু হিসাব অনুযায়ী দেখলে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই অজি ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে সেই ফুটবল ক্লাবের। তারপরেই ক্যালামকে ভারতে আনতে চাইছে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। শেষ পর্যন্ত আদৌ তিনি আসেন কিনা এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।