ইন্ডিয়ান সুপার লীগ ২০২১-২২ শিরোপা জয়ী হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC ) ওপর নেমে এসেছে শাস্তির খাঁড়া। Durand Cup শুরু হওয়ার মাধ্যমে ভারতে এবারের ফুটবল মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক তার আগে সমস্যার মধ্যে
দিল্লি এফসি, ত্রিভুবন আর্মি এফসি এবং চেন্নাইয়িন এফসির সাথে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ ই-তে থাকা আইএসএল ক্লাবটি আগামী ৬ আগস্ট তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে চলেছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্লাবটি তাদের স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড় রেজিষ্টার করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে এই স্থানান্তর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত ক্লাবকে এই শাস্তির আওতায় থাকতে হবে।
ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হায়দরাবাদ এফসি এই মরসুমে ভিগনেশ দক্ষিণামূর্তি, মাকান চোথে এবং জোনাথন মোয়া সহ অনেক নতুন খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তি করেছে। তবে কোনো সমাধান না পেলে আসন্ন মরসুমের জন্য স্কোয়াড শক্তিশালী করার তাদের অভিপ্রায় ভেস্তে যেতে পারে। যেহেতু ক্লাবটি ২০২৩-২৪ মরসুমের জন্য তাদের স্কোয়াডে এই নতুন খেলোয়াড়দের রেজিষ্টার করতে পারছে না, তাই হায়দরাবাদ এফসিতে ভবিষ্যত এই খেলোয়াড়দের ভূমিকা অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে।
২০১৯-২০২০ মরসুমে ক্লাবটির প্রতিনিধিত্বকারী প্রাক্তন খেলোয়াড় নেস্টার গর্দিলোর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্লাবটিকে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্লাবটি তাদের স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধন করার ক্ষমতা কার্যত লোপ পেয়েছে। ২০২২-২৩ মরসুম থেকে ক্লাবটির প্রাক্তন এই বিদেশি খেলোয়াড় ক্লাবে থাকাকালীন বেতন না দেওয়ার অভিযোগে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই মরসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লীগের অন্য একটি দলে যোগ দিয়েছেন এই ফুটবলার।