Qatar WC: বিশ্বকাপে বিরাট মাদক চাহিদা, দূর নদীপথ পেরিয়ে পাচারকারীদের টার্গেটে কলকাতা

কাতার বিশ্বকাপের (Qatar WC)  আসরে মাদক (narcotic smuggling) পাঠানোর চক্র সক্রিয়। ঢাকায় (Dhaka) ব্যাপক ধরপাকড়। কলকাতা (Kolkata) থেকে বিশেষ রুট ব্যবহার পাচারকারীদের। দিগন্ত জোড়া শুধু…

কাতার বিশ্বকাপের (Qatar WC)  আসরে মাদক (narcotic smuggling) পাঠানোর চক্র সক্রিয়। ঢাকায় (Dhaka) ব্যাপক ধরপাকড়। কলকাতা (Kolkata) থেকে বিশেষ রুট ব্যবহার পাচারকারীদের।

দিগন্ত জোড়া শুধু জল আর জল। সাগর ও নদীকে এখানে আলাদা করা মুশকিল। দূরে দূরে কিছু নৌকা ঢেউয়ের তালে দুলছে-ঠিক যেন কলার মোচা। এ নদীপথ আরব মুলুকের নয়, বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বিশাল (Naf River) নাফ নদী। এর একদিকে মায়ানমার (Myanmar) অন্যদিকে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আন্তর্জাতিক মানব পাচারের জন্য বারবার শিরোনামে আসা নাফ নদীর বিরাট মোহনা পার করলেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল।

   
  • আরব দুনিয়ার দেশ কাতার জুড়ে ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বর এসে গেছে
  • বৈভবশালী এই দেশটিতে বিভিন্ন দেশের সমর্থকরা পৌঁছে যাচ্ছেন
  • কাতারে হু হু করে বাড়ছে মাদক চাহিদা
  • মাদক পৌঁছে দিতে বিপজ্জনক নাফ নদীকে বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা

মায়ানমারের রাখাইন ও আকিয়াব উপকূল থেকে  নাফ মোহনা পার করে মাদক পাচারকারীরা কোটি কোটি টাকার কোকেন, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক নামিয়ে দেয় নির্জন সৈকত ও নদী তীরে। বিশ্ববিখ্যাত কক্সবাজার উপকূল থেকে পাচারকারীদের হাতে হাতে মাদক প্যাকেট গোপনে চলে যাচ্ছে ঢাকা। জানা যাচ্ছে সরাসরি কাতারে না পাঠিয়ে কোনওরকমে কলকাতায় মাদক পাঠাতে মরিয়া পাচারকারীরা। কলকাতা হয়ে আরও দুটি পথ নির্দিষ্ট করা আছে। 

বাংলাদেশ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সম্প্রতি ঢাকায় অভিযান চালায়। ধরা পড়েছে পাঁচ মাদক পাচারকারী। ধৃতদের বয়ান শুনে চোখ কপালে ওঠে আধিকারিকদের। কারণ, মাদক বিভিন্ন যাত্রীদের মাধ্যমে ঢাকা থেকে কাতারে পাঠানোর ছক করা হয়েছিল বিমান পথে! তদন্তে উঠে আসছে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়েই যাত্রী ছদ্মবেশে মাদক পাচারকারীরা কাতার পাড়ি দিত। প্রশ্ন উঠছে, বিমানবন্দরেই কি আছে গোপন এজেন্ট ? কারা জড়িত এই পাচার চক্রে? এই তথ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। দর্শকদের অনেকের মধ্যেই রয়েছে মাদকের চাহিদা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে  বিভিন্ন মাদকচক্র। মাদক যোগান দিতেই মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদীপথ ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা।

বাংলাদেশ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেন খিলক্ষেত এলাকা থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের কোকেন উদ্ধার করে। ধৃত পাঁচ মাদক কারবারি মিন্টু, এজাহার, মুন্না, নাজিম ও মামুনকে জেরা করে উঠে এসেছে জাহাঙ্গিরের নাম। কাতারে মাদক পাঠানোর সেই এজেন্ট।

অবৈধ মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা জাহাঙ্গির দ্রুত গ্রেফতার হবে বলে জানান মাদক নিয়ন্ত্রক আধিকারিক মহম্মদ জাফরুল্লাহ কাজল। ঢাকা দক্ষিণ পুরনিগম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার জানান, কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা।