শেষ পর্যন্ত কাজে এল নির্বাচকদের হুঁশিয়ারি। আইপিএলের আগে এনসিতে যোগ দিতে চলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। মঙ্গলবার এনসিএ-র শিবিরে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক। আইপিএলের পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ রয়েছে। তাতে হার্দিককে দেখে নিতে চান নির্বাচক। তারই প্রক্রিয়া হিসেবেই ফিটনেস শিবিকে ডাকা হয়েছে তাঁকে।
বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁর চোট নিয়ে কোনও আপডেট দেননি। নিয়ম অনুযায়ী চোট সারানোর জন্য জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির রিহ্যাবেও যোগ দেননি তিনি। আইপিএলের আগে ১০ দিনের ফিটনেস ক্য়াম্পে যোগ দিতে বলা হয়েছে ভারতীয় টিমের ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে যাঁদের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা আছে, তাঁদেরই এই শিবিরে ডাকা হয়েছে।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই হার্দিককে নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠছে চোট থাকা সত্ত্বেও কি করে জাতীয় টিমে সুযোগ পেলেন, তিনি নিজেও যে পুরোপুরি ফিট নন, তা চেপে গিয়েছিলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশ্বকাপে পর টিম ম্য়ানেজমেন্টের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী রিহ্য়াবের জন্য এনসিতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল হার্দিককে। রঞ্জি খেলতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনওটাই শোনেননি হার্দিক। আইপিএল থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো লক্ষ্য় হার্দিকের। আইপিএলের নতুন টিম গুজরাত টাইটান্স তাঁকে ক্য়াপ্টেন করেছে। নিজেকে প্রমাণ করে আবার ভারতীয় টিমে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু নির্বাচকরা একই সঙ্গে হার্দিকের ফিটনেস নিয়েও সন্তুষ্টি চাইছেন। ব্য়াটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং কেমন করছেন, তা দেখে নিতে চাইছেন। সেই কারণে আরও বেশি করে ফিটনেস ক্য়াম্পে ডাকা হয়েছে তাঁকে।
“হার্দিক শিবিরে যোগ দিচ্ছে। আগে যে ফিটনেস শিবির ডাকা হয়েছিল, ও তার অংশ ছিল না। ও নিজের ফিটনেস নিয়ে কোনও আপডেট দেয়নি বোর্ডকে। কিন্তু নির্বাচকরা ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওকে দেখে নিতে চাইছেন। সেই কারণেই শিবিকে ডাকা হয়েছে।”-এমনটাই বক্তব্য বোর্ডের এক কর্তার।
