শুভম কুমার, কিশানগঞ্জ: বিহারের বেগুসরায়ের রমজানপুরে অবস্থিত দুন পাবলিক স্কুলে বিহার রাজ্য অনূর্ধ্ব-১১ বালক-বালিকা শতরঞ্জ প্রতিযোগিতা (Under-11 Chess Tournamen) শুরু হয়েছে। অখিল বিহার শতরঞ্জ সংঘের আয়োজনে এই চার দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৯ জন বালিকা খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতায় কিশানগঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করছেন চার কন্যা—ধানভি কর্মকার, আস্থা কুমারী, দিব্যাংশা রঞ্জন এবং লিসা সাহ। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন দলের ম্যানেজার শ্রীমতী দিব্যা কর্মকার এবং কোচ শ্রী কমল কর্মকার। এছাড়াও, খেলোয়াড়দের অভিভাবক শ্রীমতী পূজা কুমারী, শ্রীমতী কবিতা সাহা এবং শ্রীমতী দীপা কুমারী প্রতিযোগিতাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। কিশানগঞ্জের এই চার কন্যার রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য জেলাবাসীরা তাঁদের প্রচুর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
Read Hindi: किशनगंज की चार बालिकाएं राज्य शतरंज में शामिल
কিশানগঞ্জের বাল মন্দির সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধানভি কর্মকার গত বছরের এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী। তিনি কোচ কমল ও দিব্যা কর্মকারের কন্যা। এ বছরও তিনি জাতীয় স্তরে বিহারের প্রতিনিধিত্ব করার অন্যতম দাবিদার। অন্য তিন খেলোয়াড়—আস্থা কুমারী, দিব্যাংশা রঞ্জন এবং লিসা সাহও দুর্দান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয় এবং প্রস্তুতি এলাকায় ইতিমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শতরঞ্জ সংঘের পদাধিকারীদের মধ্যে কার্যকরী সভাপতি শ্রীমতী আঁচী দেবী জৈন, যুগল কিশোর তোষনিওয়াল, ড. রাজকরণ দফতরী-সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি খেলোয়াড়দের শুভকামনা জানিয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় পাটনা, দ্বারভাঙা, মুঙ্গের, লখিসরায়, মধুবনী, রোহতাস, পূর্ণিয়া এবং বেগুসরায়-সহ বিহারের বিভিন্ন জেলার খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতা তরুণ প্রতিভাদের জন্য একটি বড় মঞ্চ, যেখানে তাঁরা নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন।
ধানভি কর্মকারের গত বছরের সাফল্য কিশানগঞ্জের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এলাকার অন্যান্য তরুণ খেলোয়াড়দের জন্যও প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ সাহ বলেন, “ধানভি এবং অন্য তিন কন্যার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আমাদের জেলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমরা তাঁদের জন্য শুভকামনা জানাই।”
এই প্রতিযোগিতা কিশানগঞ্জের তরুণ প্রতিভাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। তাঁদের এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র জেলার নামই উজ্জ্বল করছে না, বরং বিহারের শতরঞ্জ ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। প্রতিযোগিতার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কিশানগঞ্জের মানুষ। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এই চার কন্যা তাঁদের দক্ষতা ও প্রতিভা দিয়ে বিহারের শতরঞ্জ মঞ্চে নতুন ইতিহাস রচনা করবেন।
এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে আগামী ১৩ জুন। ততক্ষণ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা তাঁদের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিশানগঞ্জের এই চার কন্যার পথচলা শুধু তাঁদের জন্যই নয়, বরং সমগ্র জেলার জন্য গর্বের বিষয়।