খেলা ছেড়ে হেঁসেল ঠেলছেন চেলসির প্রাক্তন ফুটবলার

চেলসি ও সাউদাম্পটনের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্মার ছিলেন সেন্টার-ব্যাক কেন মনকো (Ken Monkou)। হাডার্সফিল্ডের হয়েও খেলেছেন। চোটের কারণে দ্রুত নিয়েছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত। মনকো তাঁর জন্মস্থান নেদারল্যান্ডসে…

Ken Monkou

চেলসি ও সাউদাম্পটনের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্মার ছিলেন সেন্টার-ব্যাক কেন মনকো (Ken Monkou)। হাডার্সফিল্ডের হয়েও খেলেছেন। চোটের কারণে দ্রুত নিয়েছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত। মনকো তাঁর জন্মস্থান নেদারল্যান্ডসে ফিরে গিয়েছিলেন পারিবারিক ব্যবসা সামলানোর জন্য।

‘হল্যান্ডে আমার বাবা-মা একটি বার-বিস্ট্রো চালাতেন। অবসর নেওয়ার পর আমি নিজেও সব সময় এমন কিছু শুরু করতে চাইতাম: একটি কফি হাউস বা একটি টি হাউস’, বলেছেন প্রাক্তন ফুটবলার।

   

‘১৬ বছর বয়সে আমি যে পুরানো প্যানকেক হাউসে যেতাম তার মালিকের কাছে গিয়েছিলাম। জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে রেস্তোরাঁ থেকে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি কিনা? দোকানের মালিক বলেছিলেন, কেন, কিন্তু তুমি জানো এই জায়গাটা বিক্রির জন্য প্রস্তুত?’ আট মাস পর আমিই রেস্তোরাঁর মালিক হলাম।’

মনকো ডেলফ্টের ওল্ড টাউন প্যানকেক হাউসটি কিনে নিয়েছিলেন। রেস্তোরাঁ সংস্কার করার রান্নার কাজে লেগে পড়েন এক সময়কাত এই তারকা ফুটবলার।

‘এটি অনেকটাই আলাদা, খেলা থেকে শুরু করে আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে প্যানকেকগুলি উল্টানো’, তিনি বলেছেন। ‘আমার মনে হয় না বর্তমান খেলোয়াড়দের কেউ এটা করবে।’

ভাল সময় স্থায়ী হয়নি।  মনকো মাত্র কয়েক বছর পরে ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ২০১৫ সালে TheFA ডট com বলেছিলেন: “২০০৭ সালে শুরু করেছিলাম এবং ২০০৯ সালে শেষ করি। আমরা এটি বজায় রাখতে পারিনি কারণ আমাকে যুক্তরাজ্য এবং হল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করছিলাম। খেলা বন্ধ করার প্যানকেক হাউস নিয়ে মতুন উৎসাহ পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটি খোলা রান্নাঘর ছিল, দুপুর ২টার মধ্যে আমাদের প্রায় ১৫০ জন গ্রাহক। একজন প্রাক্তন পেশাদার ফুটবলার যে রান্নাঘরে আছেন, তা প্রথমে কেউ বিশ্বাস করেননি।’