এবার চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত? বড় দাবি বিজ্ঞানীদের

সেই দিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় যখন চাঁদের (Moon) মাটিতে পা রাখবে ভারত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে সম্প্রতি চন্দ্রযান ৪ নিয়ে দেশবাসীর উত্তেজনা তুঙ্গে…

সেই দিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় যখন চাঁদের (Moon) মাটিতে পা রাখবে ভারত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এমনিতে সম্প্রতি চন্দ্রযান ৪ নিয়ে দেশবাসীর উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। আগামী ২০২৭ সালে চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) মিশন লঞ্চ করবে ইসরো। কিন্তু এরই মাঝে বড় দাবি করা হল।

বুধবার চন্দ্রযান মিশন-৪ এর অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরাও। এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদে নভোচারী পাঠানোর ব্যাপারেও দেশ খুব বেশি দূরে নেই। অর্থাৎ ভারত নতুন করে ইতিহাস সৃষ্টি করার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

   

উল্লেখ্য, ২০২৭ সালে চন্দ্রযান মিশন-৪ উৎক্ষেপণ করবে ভারত। তবে এই মিশন অন্য তিনটি মিশন থেকে অনেকটাই আলাদা হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের প্রাক্তন ডিরেক্টর তপন মিশ্র জানিয়েছেন, “এই মিশনের অধীনে, আমাদের চাঁদে একটি ল্যান্ডার অবতরণ করতে হবে এবং পাথর এবং চাঁদের মাটির নমুনাগুলি নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হতে হবে। চাঁদে ভারতীয় নভোচারী পাঠানোর প্রথম পদক্ষেপ এটি। এর ফলে চাঁদে নভোচারী পাঠানো থেকে ভারত খুব বেশি দূরে থাকবে না। “

বিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘ভারত সরকার তিনটি কর্মসূচি অনুমোদন করেছে। তার মধ্যে অন্যতম চন্দ্রযান-৪। আমরা খুশি যে চন্দ্রযান ৩ সেখানে অবতরণ করেছে। আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি দেখিয়েছি যা আমরা চাঁদে কিছু পাঠাতে এবং ফিরিয়ে আনতে পারি।’ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক আর সি কাপুর জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪ একটি নমুনা প্রত্যাবর্তন মিশন। দুটি রকেট ব্যবহার করে এটি সম্পন্ন করা হবে। ২০২৭ সালে এই মিশন চালু করা হবে। এর প্রথম রকেট হবে জিএসএলভি এমকে থ্রি-র মতো। এই রকেটটি অ্যাসেন্ডার মডিউল এবং ডেসান্ডার মডিউল বহন করবে। দ্বিতীয় রকেটটি পরে যাবে। ডিস্যান্ডার মডিউলটির সাথে একটি রোবোটিক বাহু সংযুক্ত থাকবে। এই বাহু চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। এরপরে নমুনাগুলি আরোহী মডিউলে পাঠানো হবে।

Advertisements