Mohan Bagan: ডুরান্ডের ক্ষত ভুলে কুয়ালালামপুর বধ পাখির চোখ ফেরান্দো ব্রিগেডের

ঘড়ির কাঁটা মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে এগিয়ে চলেছে। আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। বুধবার, সন্ধ্যে ৭ টার সময়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মালয়েশিয়ান লীগের চ্যাম্পিয়ন দল কুয়ালালামপুর সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে…

Mohan Bagan

ঘড়ির কাঁটা মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে এগিয়ে চলেছে। আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। বুধবার, সন্ধ্যে ৭ টার সময়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মালয়েশিয়ান লীগের চ্যাম্পিয়ন দল কুয়ালালামপুর সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে ATK মোহনবাগান (Mohan Bagan)।

এএফসি ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে হুয়ান ফেরান্দোর স্কোয়াডের টার্গেট জয় তুলে আনা। পুনরাবৃত্তি না ঘটে এটাও মাথায় রয়েছে প্রীতম কোটালদের। উজবেকিস্তানের নাসাফ এফসির কাছে এএফসি ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচে ০-৬ গোলের পরাজয়ের গ্লানি মোটেও ভোলেনি শুভাশিস বোসরা।

প্রতিপক্ষ কুয়ালালামপুর এফসি ব্যালেন্স দল। রক্ষণ,মাঝমাঠ আর আক্রমণ প্রতিটি বিভাস জুড়ে টোটাল অর্গানাইজেশনের ছাপ রয়েছে। কিন্তু ৯০ মিনিটের বল দখলের লড়াই’তে স্নায়ু চাপ সামলে জয়ের হাসি ফোটানো সহজ হবে না কুয়ালালামপুর এফসির পক্ষেও। ক্রোয়েশিয়ান হেডকোচ বোজান হোডাচের ছেলেদের নব্বই মিনিট শুধু প্রতিপক্ষের ১১ জনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাইই নয়। ATK মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কুয়ালালামপুর ফুটবল দলকে খেলতে হবে অ্যাওয় ম্যাচ।মোহনবাগানের কাছে এটা হোম ম্যাচ। অর্থাৎ দর্শক সমর্থন কার্যত সবুজ মেরুন জার্সিধারীদের ঘিরে থাকবে। হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে ফেরান্দোর ছেলেরা। আর কুয়ালালামপুর টিমকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত দর্শকদের হোম টিমের সমর্থকনের বিরুদ্ধে প্রতিকূল স্রোতে সাতার কেটে জয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে মাঠে নামতে হবে।

উল্টো পিঠে, ATK মোহনবাগান হোম অ্যাডভান্টেজ নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। সবুজ মেরুন জনতা প্রিয় দলের জয় দেখতে স্টেডিয়ামে কাতারে কাতারে ভিড় জমাবে। জয়ের গগনচুম্বী প্রত্যাশার চাপ নিয়ে সবুজ মেরুন ফুটবলারেরা ৯০ মিনিট নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই বাজিমাৎ করার সুযোগ পাবে। দুই দলের কাছেই স্নায়ু চাপ ‘X’ ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিতে পারে। অবশ্য সবুজ মেরুন জার্সি হোক আর লাল হলুদ কিংবা সাদা কালো জার্সি এই রঙের ক্লাবে পা রাখা মাত্রই ফুটবলারদের ঘিরে অসীম প্রত্যাশার চাপ তৈরি হয় সমর্থকদের মধ্যে।

প্রত্যাশার এই চাপ খেলোয়াড়রা বিলক্ষণই বোঝে,কেননা ফুটবলারেরা সকলেই পেশাদার। আবেগ থাকে সমর্থক আর ফুটবলারদের মধ্যে। আবেগ হচ্ছে কলকাতার তিন প্রধানের সম্পদ। এই সম্পদ নিয়ে ওয়াকিবহাল প্রতিপক্ষ দু’দল। ধারে ভারে এগিয়ে থাকার কচকচানি ম্যাচ চলাকালীন পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে।

ওস্তাদের মার… এই আপ্ত্যবাক্য পুরনো হলেও আজ এমনই এক টানটান থ্রিলার দেখতে চলেছে গোটা ফুটবল মহল। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফার স্লোগান হছে ‘Go for goal’ তাই দুদলই জয়ের লক্ষ্যে গোলের জন্য ঝাঁপাবে এটা নিশ্চিত।আর গোলের জন্য যত বল পায়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়বে সবুজ মেরুন সমর্থকরা আবেগের বশে প্রত্যাশার চাপ আরও বাড়িয়ে তুলবে কিয়ান নাসিরিদের ওপর।অন্যদিকে, মেরিনার্স শিবিরের ধমনীর কম্পনের তীব্রতা সঙ্গে বুক দুরুদুরু করে উঠবে যখন বোজান হোডাচের ছেলেরা বল পায়ে বাগানের ডিপ ডিফেন্স টার্গেট করে আক্রমণে উঠে আসবে। টেনশনের পারদের এই ওঠানামা গোটা ম্যাচের রেশকে আজ গোটা দিন ধরে চোরাস্রোতের মতো বয়ে চলেছে তা বোঝার জন্য ফুটবল বোদ্ধা না হলেও চলে।