Qatar WC: তালিবান জঙ্গি দফতর কাতারে আইএস হামলা? পারস্য উপসাগর তীরে গুপ্তচর ঢেউ

কাতারে বসে বিশ্বকাপ (Qatar WC) দর্শন করবে তালিবান (Taliban) জঙ্গি নেতারা। তাদের অন্যতম স্তানিকজাই। তার সামরিক শিক্ষা হয়েছিল দেরাদুন মিলিটারি একাডেমিতে। তালিবান (Taliban) বনাম ইসলামিক…

কাতারে বসে বিশ্বকাপ (Qatar WC) দর্শন করবে তালিবান (Taliban) জঙ্গি নেতারা। তাদের অন্যতম স্তানিকজাই। তার সামরিক শিক্ষা হয়েছিল দেরাদুন মিলিটারি একাডেমিতে।

তালিবান (Taliban) বনাম ইসলামিক স্টেট (ISIS)-দুটি জঙ্গি সংগঠনই মরিয়া পরস্পরের মাথা কাটতে। এ তাদের নীতির লড়াই। সন্ত্রাসবাদের মাপকাঠিতে যুযুধান দুই শিবিরের আড়ালে থাকছে (Al-Queda) আল কায়েদা জঙ্গিরাও। তারা ঘনিষ্ঠ তালিবানের। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের (Qatar WC 2022) চোখ ধাঁধানো জৌলুসের আড়ালে চলছে আলো ছায়ার আরও এক খেলা-গুপ্তচরবৃত্তি। নীরবে নি:শব্দে একে অপরকে ছায়ার মতো অনুসরণ করে চলছে। অগুন্তি ছায়ামানুষ। তারা গিজগিজ করছে কাতারে। পারস্য উপসাগরের তীরে যেন গুপ্তচরদের ঢেউ এসে পড়ছে।

আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার (FIFA) বিশ্বকাপ আসরের আয়োজক দেশ হিসেবে কাতারের নজির-পুরো আরব দুনিয়ায় তারাই প্রথম এমন আয়োজন করতে পেরেছে।

এদিকে একরক্তি দেশ কাতারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আড়ে বহরে তেমন নয়। তবে পুরো সেনা ও পুলিশ বাহিনী নামিয়েও বিপুল জনসমাগমের চূড়ান্ত নিরাপত্তা সম্ভব নয়। যে কোনও সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গুপ্তচর সংস্থাগুলি।

কাতারের মাঠ খোলা। গোল করো। এমন সাংকেতিক বার্তা ছড়ানোর পর থেকে কাতার সরকার সতর্ক। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ গতিপ্রকৃতির তথ্য দেওয়া সংস্থা সাইট ইন্টেলিসেন্স জানিয়েছে এই সংকেত বার্তা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের। তারা হামলার বার্তা দিচ্ছে। কারণ কাতারের রাজধানী শহর দোহা-তে আছে তালিবান জঙ্গিদের প্রকাশ্য সদর দফতর।

তালিবান গুহায় ইসলামিক স্টেটের হামলা হবে? কাতার বিশ্বকাপের হইহই রইরই ব্যাপারের আড়ালে থাকছে এই প্রশ্ন।

আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফার ক্ষমতায় আসার আগে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যত কূটনৈতিক আলোচনা করেছেন তার প্রায় সবকটি হয় দোহা শহরে। কাতার সরকারের প্রতক্ষ্য মদতে বিশাল বিলাসবহুল তালিবান সদর কার্যালয়ের ছবি দেখে চমকে গেছিল বিশ্ব। ততদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক শক্তি আফগানিস্তান থেকে সরানোর বিষয়ে পাকা করে নিয়েছে। সেই কূটনৈতিক বৈঠকের পর ছিল সময়ের অপেক্ষা। কাতার থেকে তালিবান সংগঠনের অন্যতম নেতা স্তানিকজাই যে বার্তা পাঠায় আফগানিস্তানে তাতে স্পষ্ট ছিল কাবুলে ফের আমাদের সরকার হবে।

সাইট ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষণ, ইরাক ও সিরিয়া থেকে পিছু হটে ইসলামিক স্টেটের লক্ষ্য ছিল আফগানভূমি। কিন্তু তালিবান কূটচালে তারা পরাজিত হয়। নব্বই দশকের পর ফের আফগানিস্তানের গদিতে বসে যায় তালিবান। এ দেশে এখন তালিবান ও তাদের জোট শরিক হক্কানি নেটওয়ার্ক জঙ্গি গোষ্ঠির হাতে কচুকাটা হচ্ছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। পাকিস্তানের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতপুষ্ট হাক্কানি নেটওয়ার্ক।

বিবিসির খবর, কাতারের সঙ্গে সু-কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে পাকিস্তানের সেনা পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে পাহারা দেবে কাতারের সর্বত্র।

কাতারে বসে বিশ্বকাপ দর্শন করবে তালিবান জঙ্গিদের নেতারা। তাদের অন্যতম স্তানিকজাই। যার সামরিক শিক্ষা হয়েছিল দেরাদুন মিলিটারি একাডেমিতে।