East Bengal FC: প্রভসুখন গিলের জন্য বিরাট অর্থ দাবি কেরালার, রাজি হবে ইস্টবেঙ্গল?

আগামী দুই মরশুমের জন্য তার উপরেই ভরসা রাখছে লাল-হলুদ (East Bengal FC) শিবির। তবে শুধু কোচ চূড়ান্ত করাই থেমে থাকেনি ম্যানেজমেন্ট। সুপার কাপ শেষ হওয়ার আগে থেকেই দল গঠনের ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে কলকাতার এই প্রধান।

Prabhsukhan Singh Gill

বছর কয়েক আগে কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে আইএসএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। এমনকি তাদের ফেডারেশন কাপ জেতানোর ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কুয়াদ্রাতের। তবে সেসব এখন অতীত। শেষ মরশুমে তিনি ডেনমার্কের প্রথম ডিভিশনের একটি ক্লাবের সহকারীর দায়িত্বে থাকলেও আগামী দুই মরশুমের জন্য তার উপরেই ভরসা রাখছে লাল-হলুদ (East Bengal FC) শিবির। তবে শুধু কোচ চূড়ান্ত করাই থেমে থাকেনি ম্যানেজমেন্ট। সুপার কাপ শেষ হওয়ার আগে থেকেই দল গঠনের ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে কলকাতার এই প্রধান।

তবে বিদেশি নির্বাচনের বিষয়টি স্প্যানিশ কোচের উপর ছেড়ে দেওয়া হলেও দেশীয় ব্রিগেড কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগে খেলোয়াড় বাছাই করার কাজ শুরু করা হয়। সেই অনুসারে গত মাসের শুরু থেকেই শোনা যেতে থাকে যে ওডিশা এফসির তারকা ফুটবলার নন্দকুমার শেখর ও চেন্নাইন এফসির তারকা ফুটবলার ইভান ভান্সপল কে নাকি চূড়ান্ত করে ফলেছে ইস্টবেঙ্গল।

সেইসঙ্গে কেরালা দলের ফুটবলার তথা লাল-হলুদের পুরোনো সৈনিক হরমনজোত সিং খাবরার সাথেও কথাবার্তা নাকি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে লাল-হলুদে। তবে সেখানেই শেষ নয়। এবার দলের তিনকাঠি সামলানোর ক্ষেত্রে ভুকোমানোভিচের দলের তরুন গোলরক্ষক প্রভসুখান গিলের দিকে ও নজর রাখতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল।

কেরালার এই তরুণ প্রতিভাবানের সঙ্গে নাকি কথাবার্তা ও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সমস্যা। বলাবাহুল্য, প্রভসুখান গিলের সঙ্গে কেরালার আরও এক বছর চুক্তি থাকার ফলে ট্রান্সফার ফি দিয়েই তাকে দলে নিতে চাইছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু পুরোনো দলের তরফ থেকে বিরাট অঙ্কের অর্থ দাবি করায় চুক্তি নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, প্রভসুখান কে ছাড়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সফার ফি বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা চাইছে কেরালা। যারফলে, খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে কলকাতার এই প্রধানকে।