AIFF নির্বাচনের নির্ঘণ্ট জানিয়ে দিল ফেডারেশন

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) নতুন করে নিজেদের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। ভোটের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী,নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে আগস্ট মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত।…

Federation announced the schedule of AIFF elections

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) নতুন করে নিজেদের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। ভোটের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী,নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে আগস্ট মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত। ২৮ আগস্ট হবে স্ক্রুটিনির কাজ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ আগস্টের ২৯ থেকে ৩০ তারিখ। আর নির্বাচন হবে ২ সেপ্টেম্বর।

সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের ওপর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা নিষেধাজ্ঞার খাড়া নামিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। ওই শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যা ভারতীয় ফুটবলের এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন বলা চলে।

গত সোমবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (COA) সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) বিষয়গুলির দায়িত্বে থাকা বন্ধ করা হবে। পর্যবেক্ষণে এও উঠে এসেছে, AIFF’র কার্যনির্বাহী কমিটি ২৩ জনের সমন্বয়ে গঠিত হবে। ১৭ জন সদস্য (প্রেসিডেন্ট, কোষাধ্যক্ষ, ভিপি সহ) ৩৬ টি রাজ্য অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচনী কলেজ দ্বারা নির্বাচিত হবে। বিশিষ্ট খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে ৬ জন সদস্য নেওয়া হবে।

শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, AIFF’র প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব (সুনন্দ ধর) এর নেতৃত্বে AIFF প্রশাসন দ্বারা দেখাশোনা করবে।
প্রসঙ্গত,ফিফার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পিছনে দুটি কারণ ছিল।(১)সম্পূর্ণরূপে কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (CoA) আদেশ বাতিল (২) সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) প্রশাসন ফেডারেশনের দৈনন্দিন বিষয়গুলির সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বে থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবারের নির্দেশে দুটি শর্তই পূরণ হয়েছে। এই নির্দেশ সাসপেনশন উঠানোর জন্য যথেষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে।

সুপ্রীম কোর্টের পর্যবেক্ষণে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে CoA’কে এআইএফএফ’র একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হতে হবে এবং সাধারণ সম্পাদককে একজন নির্বাচিত অফিস-কর্তার পদ হতে হবে।

আর এই কারণে গত সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আসার পর সময় নষ্ট করতে নারাজ ফুটবল ফেডারেশন। কারন, শর্ত পূরণ করা হলেও বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থা (FIFA) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি।ভারতীয় ফুটবলের নির্বাচন না হওয়ার জন্য। নির্বাচনের মাধ্যমে AIFF’কে পুনরায় সংগঠিত হতে হবে।

ভারতীয় ফুটবল এখন যে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে চলেছে এর থেকে বেরিয়ে আসার একটমাত্র রাস্তা নির্বাচন। FIFA’র নিষেধাজ্ঞার গুঁতো,
এর জেরে ভোট, সব মিলিয়ে ভারতীয় ফুটবল জমজমাট ফুটবল রাজনীতি ঘিরে।