England Vs Pakistan: গতমাসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এবার চলতি ইংল্যান্ড-পাক সিরিজে ঘরের মাঠে সেপথেই এগোচ্ছে শান মাসুদ এন্ড কোম্পানি। মুলতান টেষ্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জোড়া সেঞ্চুরি করে পাঁচশো রানের গণ্ডি টপকে চালকের আসনেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সাফল্য এলেও বোলিংয়ে চরম ব্যর্থতা এখন হারের অন্যতম কারণ হয়ে ফুটে উঠছে মেন ইন গ্রিন বাহিনীর কাছে।
গতকালই দ্বিশতরান করে লিড টপকে দিয়েছিলেন জো রুট৷ এবার রুটের সাথেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে আজ হ্যারি ব্রুক নিজের ত্রিশত রান পূরণ করলেন। রুট এবং ব্রুকের জুটিতে ভর করে সাত উইকেট খুইয়ে প্রথম ইনিংসে ৮২৩ রান খাড়া করেছে ইংল্যান্ড। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে ধুঁকছে পাকিস্তান।
দুই বছর আগের দুঃস্মৃতিটাই যেন আবার ফিরে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কাছে। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫৭৯ রান করেও সিরিজের প্রথম টেস্টে হেরেছিল পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে ইংল্যান্ড জিতেছিল ৭৪ রানে। এরপর তো পরের দুই টেস্টেও হেরে নিজেদের দেশে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় ইমরান খান – ওয়াসিম আক্রমের দেশকে।
মুলতানে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে রানের খরা কাটিয়ে সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক শান মাসুদ। এছাড়াও সেঞ্চুরি আসে পাক ওপেনার শফিকের ব্যাট থেকে। এই দুই ব্যাটারের ওপর ভর করেই চালকের আসনে চলে আসে পাকিস্তান। কিন্তু বোধহয় অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন জো রুট এন্ড কোম্পানি।
নিজেদের ইনিংস শুরু করতে নেমে পাকিস্তানকে হতাশার শেষ প্রান্তে ঠেলে দেন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। টেস্টে ইংল্যান্ডের রেকর্ড ৪৫৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন এই দুজন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে যা বিশ্ব রেকর্ডও। রুট ফিরেছেন ক্যারিয়ার–সর্বোচ্চ ২৬২ রানে। আর ব্রুক তো পেয়ে গেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিই—৩১৭। এ দুজনের ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ৮২৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। তাতে ২৬৭ রানের লিড পেয়ে যায় ইংলিশরা। এছাড়াও এই পর্বতসম রান করার ফলে পাকিস্তানকে টপকে চালকের আসনে চলে আসে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের এই পর্বতসম রানের জবাবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে রান ৬ উইকেটে ১৫২, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে যা এখনো ১১৫ কম। শেষ পর্যন্ত যদি পাকিস্তান ইনিংস ব্যবধানে হেরেই যায়, তবে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ৫০০ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হারের রেকর্ড গড়বে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ দুই সেঞ্চুরিয়ান শান মাসুদ (১১), আবদুল্লাহ শফিক (০)। এছাড়াও ব্যার্থ হয়েছেন তারকা পাক ব্যাটার বাবর আজম( ৫)। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন এবং বেন কার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জ্যাক লিচ এবং ক্রিস ওকস। পাকিস্তানের হয়ে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন তুলেছেন ৭০ রান। সালমান ৪১ রানে অপরাজিত, জামাল ২৭ রানে।(এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৫৫৬ ও ৩৭ ওভারে ১৫২/৬ (সালমান ৪১*,শাকিল ২৯, জামাল ২৭*, সাইম ২৫; অ্যাটকিনসন ২/২৮, কার্স ২/৩৯)।
ইংল্যান্ড: ১৫০ ওভারে ৮২৩/৭ ডি. (ব্রুক ৩১৭, রুট ২৬২, ডাকেট ৮৪, ক্রলি ৭৮, স্মিথ ৩১; সাইম ২/১০১, নাসিম ২/১৫৭)।
(৪র্থ দিন শেষে)