Tuesday, October 14, 2025
HomeSports News'পিকের' সৌজন্যেই কুয়াদ্রাতের পর এই বিদেশিকে বেছে নিল ইস্টবেঙ্গল

‘পিকের’ সৌজন্যেই কুয়াদ্রাতের পর এই বিদেশিকে বেছে নিল ইস্টবেঙ্গল

গতকালই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ মরশুমে ডুরান্ড এবং আইএসএলে জঘন্য পারফরম্যান্স করার পর ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে নিয়ে লাল-হলুদ শিবির ছাড়েন কার্লোস কুয়াদ্রাত। তবে প্রিয় ‘প্রফেসর’ সরলেও, থমথমে আকাশে এখনও নেভেনি মশালের আগুন। বিগত মঙ্গলবার ক্লাব কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ মিটিংয়ের পর এক বিবৃতি জারি করে কোচিংয়ের পদ থেকে সরানো হয় কুয়াদ্রাতকে।

Advertisements

তবে কুয়াদ্রাতের পরবর্তী এখন কে হবেন এই নিয়ে শোনা যাচ্ছে গতকালই ফের মিটিংয়ে বসে লাল হলুদ কর্তৃপক্ষ। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্বে বিন জর্জ এলেও, দৌড়ে নাম ছিল হাবাস, ভুকমানভিচ এবং ভার্গেটিসের। তবে শোনা যাচ্ছে আপাতত শেষ দুজনকে সরিয়ে লাল-হলুদ শিবিরের (East Bengal FC) আগামী ‘প্রফেসর’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আন্তেনিও হাবাসের। এই বিষয় নিয়ে নাকি প্রাক্তন বাগান কোচের সাথে অনেকখানি কথা এগিয়েছে মশাল বাহিনীর।

Advertisements

চলতি বছরটা খুব একটা ভালো যায়নি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। এমরশুমে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে যায় লাল হলুদ শিবির। তারপর আইএসএল খেলতে নেমে পরপর তিন ম্যাচ হেরে হারের হ্যাটট্রিক করেছে মশালবাহিনী। আক্রমণ এবং রক্ষণ বিভাগে দুর্বলতা একটা একশো বছরের উজ্জ্বল ইতিহাসে এনে দিয়েছে কালো ছায়া। এছাড়াও বিগত গোয়া ম্যাচে হারের পর যুবভারতীতে লাল হলুদ সমথর্করাই গো ব্যাক আওয়াজ তোলেন। তাই কোচ নির্বাচনে এবার প্রতিপক্ষের প্রাক্তন ‘নির্দেশককেই ‘ ছিনিয়ে নিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক থাকলে মোহনবাগানকে দুটি আইএসএল ট্রফি, একটি শিল্ড জেতানো হাবাসই হয়ত প্রধান কোচ হয়ে আসতে পারেন ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। শোনা যাচ্ছে আগামী ১৯ তারিখ ডার্বির আগেই দিমি -সেল্টন-দেবজিৎ দের কোচ হিসাবে দেখা যেতে পারে প্রাক্তন মোহনবাগান কোচকে।

ডুরান্ড এবং আইএসএলে খারাপ পারফরম্যান্স করার পর এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টুয়ের প্রিলিমিনারী রাউন্ডে আলটিন আসিয়ের কাছে ঘরের মাঠে পরাজিত হয়েছে মশালবাহিনী। এছাড়াও দলের মধ্যে মাঝমাঠের সাথে আক্রমণভাগের কোনো ‘কানেকশনই’ লক্ষ্য করা যায়নি বিগত পাঁচ ম্যাচে। তাই বাঙাল ব্রিগেডের একসময়ের সেরা কোচ পিকে ব্যানার্জির ধাঁচেই বদল আনতে চায় লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ। একসময় প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড় প্রদীপ কুমার ব্যানার্জির হাত ধরেই ভারতসেরা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দলের আক্রমণ থেকে রক্ষনভাগ- প্রায় সব কিছুতেই ছিল মাস্টার পিকের নিখুঁত নজর। ভারতীয় ফুটবলের বিগত কিছু বছরেরে দিকে তাকালে দেখা যায় প্রদীপ কুমার ব্যানার্জির মতো ফরম্যাটে দলকে খেলাতেন আন্তেনিও হাবাস। সে আইএস এলের প্রথম ফিকরুই হোক বা হারিয়ে যাওয়া শিল্টন পালের পুনরুদ্ধার – সব কিছুতেই হাবাসের অবদান অনস্বীকার্য। তাই আপাতত ভুকমানভিচ এবং ভার্গেটিসকে সরিয়ে হাবাসেই মজেছে লাল হলুদ কর্তৃপক্ষ।

কুয়াদ্রাতের পতনের পরই ময়দানে গুজব রটতে শুরু করে যে একেবারে নাকি শেষ হয়ে গেছে কলকাতার এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। গত মরশুমে আইএসএল হারলেও পরপর তিন ম্যাচে বারোটা গোল করার রেকর্ড গড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। একেবারে দিমিকে দলে নিলেও শুনতে হয়েছে দলের খেলার স্টাইল নাকি ম্যাচ করছে না। এছাড়াও হাজার গোল মিস করে দেওয়ালে একপ্রকার পিঠ থেকে গেছে লাল-হলুদ বাহিনীর (East Bengal FC)। জন্ম নিয়েছে একরাশ মনখারাপের থমথমে আকাশ। আর এই ‘থমথমে আকাশেই ‘হাবাসের মতই কাউকে বিদ্যুৎ ঝলকানি হিসেবে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। দেওয়ালে পিঠ থেকে গেলেও ব্যারিটোন ভয়েসে, ক্ষতচিহ্নের আল্পনা নিয়ে যিনি অনেকটা বলিউড স্টাইলে বলে উঠবেন” ইস্টবেঙ্গল জিন্দা হ্যায়। “

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments