গতবারের হতাশাজনক মরশুম কাটিয়ে এবার নতুন করে নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ (East Bengal) শিবির। সেজন্য স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তার কথা মেনেই গতবছর দলের হয়ে খেলা ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে নাওরেম মহেশ সিং ও সৌভিক চক্রবর্তীর মতো ফুটবলারদের দলে রেখে নতুন করে সাজানো হয় গোটা স্কোয়াডকে।
সেক্ষেত্রে সবার আগে ওডিশা এফসি থেকে আনা হয় তারকা ফুটবলার নন্দকুমার শেখরকে। তারপর নিশু কুমার থেকে শুরু করে এডুইন ভান্সপল, মন্দাররাও দেশাই, প্রভসুখান সিং গিল সহ দলের পুরোনো তারকা হরমনজোত সিং খাবরাকে ফিরিয়ে আনে ম্যানেজমেন্ট। তবে শুধু দেশিয় ফুটবলার নয়। দলের বিদেশি ফুটবলার চয়নের ক্ষেত্রে ও বিশেষ গুরুত্ব দেয় ম্যানেজমেন্ট।
তবে এক্ষেত্রে দলের হেডকোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মেনে চূড়ান্ত করা হয় বিদেশিদের। সেক্ষেত্রে হায়দরাবাদ এফসির দুই তারকা ফুটবলার তথা জাভিয়ের সিভেরিও টোরো ও বোরহা হেরেরাকে দলে টানে ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে দলের রক্ষনভাগ সামাল দেওয়ার জন্য আনা হয় জর্ডন এলসে ও অ্যান্তোনিও পার্দো লুকাসকে।
এদের নিয়েই নয়া মরশুমে ডুরান্ড কাপের অভিযান শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনা দলের কাছে আটকে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় কলকাতার এই প্রধান। বহুদিন পর কলকাতা ডার্বিতে তারা পরাজিত করে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলকে। তারপর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল। সব ঠিক থাকলে এবার হয়ত জন আব্রাহামের নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হতে চলেছে কার্লোস কুয়াদ্রাতের ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। বর্তমানে সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
তবে মন্দাররাও দেশাইয়ের চোট যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টকে। আসলে গত মঙ্গলবার অনুশীলন চলাকালীন পায়ে চোট পান তারকা ডিফেন্ডার মন্দাররাও দেশাই। যারফলে, শেষ পাঞ্জাব ম্যাচে খেলতে পারেননি এই তারকা। তবে এবার চোটের জায়গা স্ক্যান করা হলে দেখা যায়, খুব একটা গুরুতর চোট পাননি এই লাল-হলুদ তারকা। সব ঠিক থাকলে আগামী ম্যাচ থেকেই হয়ত মাঠে ফিরবেন মন্দার।