চলতি আইএসএলে (ISL) একেবারেই ছন্দে নেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ব্রিগেড। হায়দরাবাদ দলের বিপক্ষে দল জয় পেলেও পরবর্তীতে বেঙ্গালুরু এফসি ও এফসি গোয়ার মতো দলের বিপক্ষে পরাজিত হতে হয় কলকাতার এই প্রধানকে। যা দেখে হতাশ সকলেই। এই পরিস্থিতিতে দলের ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার জন্য কলকাতা লিগের পাশাপাশি আইলিগের একাধিক শক্তিশালী দলগুলির সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের তরফ থেকে। যেমন ভাবনা ঠিক তেমন কাজ।
গত কয়েকদিন আগেই নিজেদের ঘরের মাঠে আইলিগের শক্তিশালী দল নেরোকা এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ক্লেটনরা। নির্ধারিত সময়ের শেষে সেই ম্যাচে পরাজিত হতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দলকে। তার ঠিক কয়েকদিন পর কিবু ভিকুনার ডায়মন্ডহারবার এফসির মুখোমুখি হয় দল। সেই ম্যাচে ও অমীমাংসিত থাকে ফলাফল। তবে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে জাভিয়ের সিভেরিও টোরো,আন্তোনিও লুকাস পার্দো, ভিপি সুহের ও নিশু কুমার।
যা দেখে খুশি ছিল সকলেই। তবে এসবের মাঝে ও সকলের চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল দলের তারকা উইঙ্গার নন্দকুমার শেখরের চোট। আসলে সেই ম্যাচ চলাকালীন পায়ে চোট পেয়েছিলেন এই ফুটবলার। পাশাপাশি চোট এসেছিল মহামেডান স্পোর্টিং দলের এক তরুণ ফুটবলারের। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে নন্দকুমারকে তুলে নেন স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।
তবে তখন যা পরিস্থিতি ছিল তাতে সাময়িক বিশ্রাম পেলেই একেবারে সুস্থ হয়ে যেতেন নন্দকুমার। তেমনটাই মনে করা হচ্ছিল তখন থেকে। তবে এখনো পর্যন্ত আগের মতো ফিট হয়ে উঠতে পারেননি এই তারকা। যারফলে, আসন্ন আইএসএল ম্যাচে তার মাঠে নামা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
আগামী ৪ঠা নভেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা দলের মুখোমুখি হতে চলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেড। গত দুই ম্যাচে হারের জ্বালা ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য নাওরেম মহেশদের।তবে চোটের কারনে অনেকটাই অনিশ্চিত নন্দকুমার। যার দরুণ দলের উইং অপারেট করা নিয়ে প্রবল সমস্যা দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। শেষ পর্যন্ত কে আসনে দলের প্রথম একাদশে এখন সেটাই দেখার।