CFL: ডায়মন্ডহারবার এফসির মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল, কবে জেনে নিন

চলতি মাসের একেবারে শুরুর দিকে সর্বাধিক পয়েন্টের ভিত্তিতে কলকাতা লিগ (CFL) জয় করে ফেলে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই নিয়ে টানা তিনবার লিগ জয় করল ময়দানের…

East Bengal

চলতি মাসের একেবারে শুরুর দিকে সর্বাধিক পয়েন্টের ভিত্তিতে কলকাতা লিগ (CFL) জয় করে ফেলে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই নিয়ে টানা তিনবার লিগ জয় করল ময়দানের এই প্রধান। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বাকি থেকে গিয়েছিল সুপার সিক্সের বেশকিছু ম্যাচ। যার মধ্যে ছিল মোহন – ইস্ট ডার্বি থেকে শুরু করে ভবানীপুর, ডায়মন্ডহারবার ও খিদিরপুর ক্লাবের একাধিক ম্যাচ।

কিন্তু কবে হবে সেই খেলা? তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল জটিলতা। তাছাড়া বহু আগে থেকেই রেলিগেশন রাউন্ডের ম্যাচ শুরু হয়ে গেলেও কলকাতা লিগের দুই প্রধানের পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাকি থাকায় এই টুর্নামেন্ট শেষ করা নিয়ে দেখা দিয়েছিল বহু জটিলতা। আদৌও কি এবছর শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট? একটা সময় দেখা দিয়েছিল ঠিক এমনই প্রশ্ন।

অবশেষে ফের চালু হওয়ার পথে কলকাতা লিগ। চলতি মাসের ৩০ তারিখ নিজেদের ঘরের মাঠে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ময়দানের অন্যতম প্রধান ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রাখা হয়েছে স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনার ডায়মন্ডহারবার এফসিকে। যতদূর খবর, সেদিন দুপুর আড়াইটে থেকে শুরু হতে পারে এই ফুটবল ম্যাচ। এখন সেদিকেই নজর সকলের। উল্লেখ্য, আইএসএলের পরবর্তী ম্যাচে নামার আগে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ বেলার দিকে নিজেদের ঘরের মাঠে ডায়মন্ডহারবার এফসির সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে লাল-হলুদ ব্রিগেড। নির্ধারিত সময়ের শেষে গোলশূন্য থাকে ম্যাচের ফলাফল।

তবে নাওরেম মহেশ সিংয়ের মতো ফুটবলাররা আজ দলে না থাকলেও নয়া বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরকে খেলানো হয় পুরো নব্বই মিনিট। অর্থাৎ ধীরে ধীরে তিনি যে ম্যাচফিট হয়ে উঠছেন তা কিন্তু বলাই চলে। এছাড়াও মোবাশির রহমানের মতো ফুটবলার ও ছিল আজকের ম্যাচে। তবে লাল-হলুদের রিজার্ভ বেঞ্চ পরখ করে নেওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের।

সেজন্য জুনিয়র দলের তারকা অভিষেক কুঞ্জম থেকে শুরু করে তন্ময়, বিষ্ণু ও ভানলালপেকা গুইতের মতো একাধিক ফুটবলারকে খেলানো হয় আজকের এই ম্যাচ। ফলাফল খুব একটা আহামরি না থাকলেও আসন্ন কলকাতা লিগের আগে চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলায় দল যে অপেক্ষাকৃত বাড়তি অক্সিজেন পাবে তা কিন্তু বলাই চলে।