এবারের এই ফুটবল মরশুমের শুরুটা যথেষ্ট ভালো ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাবের। একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দল সহজেই উঠে গিয়েছিল ডুরান্ড কাপের ফাইনালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলের কাছে। যা নিঃসন্দেহে ধাক্কা ছিল সমর্থকদের কাছে।
তবে পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপে ও বজায় থাকে সেই ছন্দ। শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে পরাজিত করে সুপার কাপ জয় করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যারফলে, বহু বছর পর আবারো সর্বভারতীয় স্তরের কোনো ট্রফি আসে কলকাতা ময়দানের এই প্রধানে।
সেই ছন্দ এবারের আইএসএলে রাখার চেষ্টা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে স্প্যানিশ তারকা বোরহা হেরেরা এবং জাভিয়ের সিভেরিও টোরোর দল বদলের পর থেকেই যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় মশাল ব্রিগেড। তাদের অনুপস্থিতি বোঝা যেতে থাকে প্রত্যেকটি ম্যাচে। তবুও শেষ পর্যন্ত আইএসএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে ছিল কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।
মনে করা হচ্ছিল এ বছর হয়তো চেন্নাইন থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরু এফসির মত দলগুলিকে টেক্কা দিয়ে প্রথম ছয় নম্বরে সুযোগ করে নেবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসির কাছে পরাজিত হয়ে আইএসএল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে ক্লেটনদের। যা অনেকটাই হতাশ করেছে সমর্থকদের।
তবে আগামী মরশুম থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ শিবির। সেইমর্মে আগামী বৃহস্পতিবার বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছে কর্তারা। যেখানে নতুন সিজনের দল গঠনের পাশাপাশি ক্লাব সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ইনভেস্টরদের সঙ্গে চলতে পারে আলোচনা। উল্লেখ্য, গত কয়েক মরশুম ধরেই দল গঠনের ক্ষেত্রে একেবারে চূড়ান্ত ব্যর্থ থেকেছে এই প্রধান। শেষ মুহূর্তে খেলোয়ার চূড়ান্ত করে মাঠে লড়াই করেছে ইস্টবেঙ্গল।
যার ফলাফল ও মিলেছে হাতে নাতে। তাছাড়া এবছর সুপার কাপ বাদ একেবারে ব্যর্থ থেকেছে ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে সমর্থকদের। তাই নতুন মরশুমের কথা মাথায় রেখেই হতে চলেছে আলোচনা।