East Bengal: ডায়মন্ডহারবার এফসিকে খরকুটোর মতো উড়িয়ে দিল মশালবাহিনী

চলতি মাসের প্রথমদিকে এবারের কলকাতা লিগের বিজয়ী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে টানা তিনবার কলকাতা লিগ নিজেদের ঘরে তুলেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক।…

East Bengal Secures a 4-1 Victory Over Diamond Harbor FC

চলতি মাসের প্রথমদিকে এবারের কলকাতা লিগের বিজয়ী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে টানা তিনবার কলকাতা লিগ নিজেদের ঘরে তুলেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক। কিন্তু তার পরেও বাকি রয়ে গিয়েছে ময়দানের বাকি দুই প্রধান সহ সুপার সিক্সের বাকি দল গুলির একাধিক ম্যাচ। পরবর্তীতে আইএসএলের মতো টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার দরুণ সাময়িকভাবে কলকাতা ফুটবল লিগ বন্ধ থাকলেও গত কয়েকদিন আগে ঘোষণা করা হয় একাধিক ফুটবল ম্যাচের সূচী।

সেই অনুসারে আজ কিবু ভিকুনার ডায়মন্ডহারবার এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় মশাল ব্রিগেড। যা দেখে খুশি সকলেই। আজ লাল-হলুদের জার্সিতে গোল করেন যথাক্রমে জেসিন টিকে, মহিতোষ রায়, তুহিন দাস ও অভিষেক কুঞ্জম। অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার দলের হয়ে একটি মাত্র গোল করেন রাহুল পাসওয়ান।

দলের ফুটবলারদের এই পারফরম্যান্স দেখে যথেষ্ট খুশি ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জ। মূলত আজ নিয়ম রক্ষার ম্যাচ থাকলেও সেই ম্যাচে জয় পেতেই মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল। সেজন্য শুরু থেকেই যথেষ্ট চনমনে থেকেছেন দলের ফুটবলাররা। শুরু থেকে একাধিকবার গোলের সুযোগ আসলেও কোনোভাবেই গোলের মুখ খোলা সম্ভব হচ্ছিলনা ময়দানের এই প্রধানের ফুটবলারদের পক্ষে।

অবশেষে ম্যাচের ঠিক ৩৬ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেসিন টিকে। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ১-০ গোল। কিন্তু তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ঠিক অতিরিক্ত সময় দুই মিনিটের মাথায় গোল করেন রাহুল পাসওয়ান। যারফলে সমতায় ফেরে ডায়মন্ডহারবার এফসি। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে ফেলার চেষ্টা থাকলেও জেসিনদের ঘনঘন আক্রমণে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছিল ডায়মন্ডহারবার দলের ডিফেন্ডারদের।

ম্যাচের ঠিক ষাট মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লাল-হলুদ তারকা মহিতোষ রায়। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ২-০ গোল। তারপর কিছুটা সময় মাঝমাঠে বল দখলের লড়াই চললেও আটাত্তর মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তুহিন দাস। তারপর একেবারে ম্যাচের অন্তিম লগ্নে এসে গোল করে দলের ব্যবধান বাড়ান অভিষেক কুঞ্জম।