ছোট পাস, উইং প্লে, টিম গেম… পরাজিত East Bengal

আরএফডিএল ফাইনাল (RFDL Final) গিয়ে হারল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পাঞ্জাব এফসির পক্ষে ম্যাচের ফালাফল ৩-২। প্রতিপক্ষের গোল মুখ খোলার পরেও ইস্টবেঙ্গলকে কেন হারতে হল? আগামী…

east bengal rfdl final game lost analysis

আরএফডিএল ফাইনাল (RFDL Final) গিয়ে হারল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পাঞ্জাব এফসির পক্ষে ম্যাচের ফালাফল ৩-২। প্রতিপক্ষের গোল মুখ খোলার পরেও ইস্টবেঙ্গলকে কেন হারতে হল? আগামী দিনে উন্নতি করতে হলে খুঁজে বের করতে হবে এর উত্তর।

   

ইস্টবেঙ্গলকে পাঞ্জাব এফসি টেক্কা দিয়েছে পাসিং গেমে। পাঞ্জাব এফসির আরএফডিএল দলের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও ম্যাচের পর জানিয়েছেন, “আমি আমার ছেলেদের দ্রুত এবং নিজেদের মধ্যে ছোটো পাস খেলতে বলেছিলাম, এটি আমাদের জন্য কাজ করেছে।”

East Bengal: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আশায় একেবারে জল ঢালল চেন্নাইয়িন এফসি

শঙ্করলাল চক্রবর্তী অভিজ্ঞ কোচ, আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে ওয়াকিবহাল। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের পাসিং দুর্বলতা তাঁর চোখে ধরা পড়েছিল। বিরতির পর নিজেদের খেলার ধরণ কিছুটা বদলে ছিল পাঞ্জাব। তাতেই কাজ হয়েছে।

ইস্টবেঙ্গলের এই দলে প্রতিভার কোনো অভাব নেই। তরুণ বয়সে পায়ে বেশিক্ষণ বল রাখার প্রবণতা থাকে। একক দক্ষতায় ড্রিবল করে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও নতুন নয়. ফুটবল টিম গেম. তাতে ড্রিবল থাকবে, পাসিংও থাকবে। টিম গেমের গুরুত্ব বোঝানো প্রশিক্ষকদের কাজ।

বিশ্বকাপ খেলার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল RFDL সোনার বুট জয়ী ফুটবলার

পাঞ্জাবের প্রথম গোলের ক্ষেত্রেও ছিল নিভুল পাসিং। নিখুঁত লং বল প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ফালাফালা করে দিতে পারে। অবিন্যস্ত রক্ষণকে চেইপ ফেলার জন্য অনেকেই লং বল থিওরিতে ভরসা করেন। লং বল থিওরি তখনই কাজে আসে যখন সেটা ঠিকঠাক কাজে লাগানো যায়। ভাৰতীয় ফুটবলে লং বল নতুন নয়। বছর খানেক আগেও ভারতে লং বলের চল ছিল খুব। কাজের কাজ হয়নি। এখন পাসিং ফুটবলে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছেন বেশিরভাগ কোচ।

শুধু পাসিং নয়, ইস্টবেঙ্গলের এই আরএফডিএল দলের ফুটবলারদের বল ধরার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। বল ও শরীরের দূরত্ব খেলায় গুরুত্বপূর্ণ। রিসিভ ভাল হলে বল শরীর থেকে বেশি দূরে যাবে না। বল পায়ে লেগে থাকবে আঠার মতো।

Sankarlal Chakraborty: শঙ্করলাল প্রকাশ্যে আনলেন ‘মশাল’ নেভানোর পরিকল্পনার কথা

পাঞ্জাব এফসির তৃতীয় গোলের সময় টিম গেমের পরিকল্পনা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল। মিডফিল্ডার ও উইঙ্গারের মতো ছোট পাস্ খেলে দ্রুত আক্রমণ। সামনে ফাঁকা জমি পেয়ে অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল উইঙ্গার। সেখান থেকে বল চলে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের বক্সে। তারপর জয়সূচক গোল। ছোট পাস, উইং প্লে, টিম গেম- এই তিন টোটকায় পাঞ্জাব এফসির গোল ও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে খেতাব জয়।