গত মরশুমের হতাশা ভুলে এবার নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ (East Bengal) ব্রিগেড। সেইমতো এবারের এই ডুরান্ড কাপে যথেষ্ট ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনার বিপক্ষে এগিয়ে থেকে ড্র করলেও পরবর্তীতে শক্তিশালী মোহনবাগান দলের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নেয় লাল-হলুদ।
তারপর পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায় কলকাতার এই প্রধান। সেখানে আইলিগের শক্তিশালী দল গোকুলাম কেরালা এফসিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে ট্রাইবেকারে ম্যাচ জিতে সোজা ফাইনাল। যেখানে এবার তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস।
আগামী ৩ তারিখ বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নামবে কলকাতার দুই প্রধান। তবে তার আগে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডুরান্ড কাপ খেলতে গিয়ে পরবর্তীতে একাধিকবার ভাবার কথা জানান লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। কিন্তু কেন?
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারের এই ডুরান্ড কাপে শুরু থেকেই যথেষ্ট অব্যবস্থা ধরা দিয়েছে। যার ফলে টিকিট সংগ্রহ সহ ম্যাচ আয়োজন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকি ম্যাচের টিকিট সংগ্ৰহ করতে গিয়ে ও যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে দলের সমর্থকদের। এছাড়াও ডুরান্ড কমিটির তরফ থেকে ক্লাব গুলিকে যে পরিমাণে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। তাতে ও দেখা দিয়েছে সমস্যা। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত টিকিট না থাকায় মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে ক্লাবের একাধিক কর্তাদের।
তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী ম্যাচে ও নাকি মাঠে যাচ্ছেন না ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। পাশাপাশি এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট শেষে নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও শোনা গিয়েছে তার মুখ থেকে। এক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থার যৌথ সিদ্ধান্তের নিরিখে ডুরান্ডে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে ও আলোচনার কথা শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি গত ডুরান্ড ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ও তীব্র প্রতিবাদ করেন লাল-হলুদ কর্তারা।