গত ২৮ জানুয়ারি ওডিশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে সুপার কাপ ঘরে তুলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেই উন্মাদনা এখনো রয়ে গেছে সমর্থকদের মধ্যে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ডার্বি জিততে চাইছে লাল-হলুদ। তবে বিদেশি বদলের পাশাপাশি বেশকিছু ভারতের ফুটবলারদের অনুপস্থিতি যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে ম্যাচের মধ্যে। তবুও নিজেদের দলের চার বিদেশির উপর ভরসা রেখেই ডার্বি জিততে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড। অন্যদিকে, বদলা নেওয়ার লড়াই মেরিনার্সদের। এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করার দরুন গত ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনায়ক শুভাশিস বসু থেকে শুরু করে গোলরক্ষক বিশাল কায়েথ, মানবীর সিং ও সাহাল আব্দুল সামাদ সহ দীপক টাংড়ির মতো ফুটবলার। তবে বর্তমানে গত কয়েকদিন ধরেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন সকলে। যার দরুন এই ম্যাচ যে খুব একটা সহজ হবে না তা বলাই চলে। ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু।
তবে আজকের এই ম্যাচে সৌভিক চক্রবর্তীর মতো দাপুটে ফুটবলারকে মাঠে পাবেনা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। যার ফলে মাঝ মাঠে দখল নিতে গিয়ে অনেকটাই বেক পেতে হবে তাদের। সেক্ষেত্রে লড়াইটা অপেক্ষাকৃত সহজ হতে পারে মোহনবাগানের। তবুও নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া দুই প্রধান। তবে শুধু ডার্বি ম্যাচ নয়। আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের বাদবাকি ম্যাচগুলির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে গিয়ে যাতে কোন সমস্যা না দেখা দেয় সেদিকে নজর রেখেও খেলোয়াড় নির্বাচন করছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। এই ডার্বি ম্যাচে লাল-হলুদের দুই নতুন বিদেশী খেলতে না পারলেও টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন দুজনেই।
তবে শুধু বিদেশী ফুটবলার নয়। দেশি ফুটবলারদের ক্ষেত্রেও একাধিক তরুণ ফুটবলারের দিকে নজর ছিল লাল-হলুদের। অনেকটাই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছেন দুইজন তারকা। তবে তাদের নাম ঘোষণা করার আগেই নিজেদের জুনিয়র ফুটবলার তন্ময় দাসকে আইএসএলের জন্য রেজিস্টার করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ এবারের ফুটবল মরশুমে আগরপাড়ার এই মিডফিল্ডারের উপরেই ভরসা রাখছে লাল-হলুদ। উল্লেখ্য, জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে কলকাতা লিগে একাধিক ম্যাচ খেলেছিলেন তন্ময়। সেই সুবাদেই এবার সিনিয়র দলে প্রমোট করেছে ম্যানেজমেন্ট।