আজ সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৩০ মিনিটের মাথায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দ্বিতীয় লেগের খেলা শুরু করবে ময়দানের দুই প্রধান। একদিকে রয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস ও অন্যদিকে রয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। গত বছর অর্থাৎ এবারের আইএসএল মরশুমের শুরুটা খুব একটা আরামদায়ক না হলেও ধীরে ধীরে নিজেদেরকে লড়াকু পর্যায় নিয়ে আসে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, শুরু থেকেই অনবদ্য ছন্দে ছিল পড়শী ক্লাব। পাঞ্জাব হোক কিংবা জামশেদপুর। একের পর এক ম্যাচে শুধুই জয় এসেছে মেরিনার্সদের। যারফলে, একটা সময় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছিল মেরিনার্সরা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টে বসুন্ধরা কিংসের কাছে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বদলে গিয়েছে সমস্ত কিছু।
আইএসএলের একাধিক হেভিওয়েট দলের বিপক্ষে পরাজিত হতে থাকে মোহনবাগান। একনাগাড়ে টানা তিন ম্যাচ পরাজিত হয়ে নতুন রেকর্ড করে এই প্রধান। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি দলের সমর্থকরা। যার দরুণ বদলে ফেলা হয়েছে দলের কোচ। বর্তমানে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাতে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। বলতে গেলে, তার তত্ত্ববধানেই টুর্নামেন্টের এই দ্বিতীয় লেগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগান। সেই সঙ্গে রয়েছে বদলার লড়াই। শেষ ডার্বি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছে কার্যত তুলনা হতে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে। তবে এবার এই ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়তে চাইছেন শুভাশিসরা।
এক কথায় বলতে গেলে, এবার এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে সকলে। কিন্তু ম্যাচের শেষে বাড়ি ফিরতে যাতে খুব একটা সমস্যা না হয় দুই দলের সমর্থকদের সেক্ষেত্রেই এবার নেওয়া হল বিশেষ ব্যবস্থা। যতদূর জানা গিয়েছে, এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের কথা মাথায় রেখেই বাড়ানো হয়েছে মেট্রোর সময়সীমা। সেই সাথে বাড়ানো হয়েছে বাসের সংখ্যা। উত্তর থেকে দক্ষিণ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ যাতে সঠিক ভাবে পৌঁছাতে পারে তার জন্য থাকছে ৩০ টিরও বেশি বাসের ব্যবস্থা। যারফলে, ম্যাচের শেষে বাড়ি ফিরতে খুব একটা সমস্যা দেখা দেবে না দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে।