ম্যাচ হেরেই এবারের ফুটবল মরসুম শেষ করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সুপার কাপের সূচি অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে পরাজিত হল মশাল ব্রিগেড। এদিন দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে জেসুস জেমিনেজ এবং নোয়া সাদাউ। এদিন প্রথম থেকেই এই দুই তারকা ফুটবলারকে আটকাতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদের। প্রথমদিকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রথমার্ধের শেষ কোয়ার্টারে প্রতি আক্রমণে উঠে পেনাল্টি আদায় করে নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। সেখান থেকেই প্রথমে শট নেন জেসুস জেমিনেজ। কোনও রকমে সেই শট প্রথমবার বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদের গোলরক্ষক প্রভসুখান সিং গিল। কিন্তু সেটা বীধি সম্মত ছিল না। যারফলে পুনরায় শট নেওয়ার সুযোগ পায় কেরালা দল। সেখান থেকেই গোল করে যান এই স্প্যানিশ ফুটবলার। যারফলে অনায়াসে একটি মাত্র গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় দক্ষিণের এই ফুটবল দল। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে সেই গোলের সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রাফায়েল মেসি বাউলি।
কার্য ফাঁকা বারে ও গোল করতে ব্যর্থ থাকেন মেসি। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোল তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে সেইমতো বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং সুযোগ বুঝেই ব্যবধান বাড়িয়ে যান নোয়া সাদাউ। গোল বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দুরপাল্লার শট নেন এই মরোক্কান তারকা। যার কোনও জবাব ছিল না লাল-হলুদের কাছে। যারফলে দুই গোলে পিছিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে ও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গত বছর এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার প্রথমেই ছিটকে গেল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা। আসন্ন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে এবার শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে খেলতে হবে কেরালা ব্লাস্টার্স দলকে।