East Bengal : নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল

বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর গত ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) ‘লাস্ট বয়’ ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal) চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) নিজেদের তিন নম্বর ম্যাচ খেলতে নামবে…

East Bengal

বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর গত ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) ‘লাস্ট বয়’ ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal) চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) নিজেদের তিন নম্বর ম্যাচ খেলতে নামবে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি’র বিরুদ্ধে। খেলা হবে গুয়াহাটির স্টেডিয়ামে।

গুয়াহাটিতে উড়ে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার, কলকতাতে লাল হলুদ ব্রিগেডের শেষ প্র‍্যাকট্রিস সেশন। বিকেলের বিমানে ইস্টবেঙ্গল টিম উড়ে যাবে গুয়াহাটির উদ্দ্যেশে। চলতি ISL টুর্নামেন্টে স্টিফেন কনস্টাটাইনের ইস্টবেঙ্গল এফসি একটা ম্যাচও এখন জেতেনি। কিন্তু জয়ের লক্ষ্যে লাল হলুদ ফুটবলারদের প্র‍্যাকট্রিস সেশনে কোনও কিছুরই খামতি নেই। লাল হলুদ ফুটবলারদের ফিজিক্যাল স্ট্রেহ্ন এবং শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য শিবিরে উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে,যা অভিনবও বটে।

কি সেই অভিনবত্ব লাল হলুদ ফুটবলারদের অনুশীলনে? অভিনবত্ব হল লাল হলুদ ফুটবলারদের জার্সির নীচে ‘জিপিএস ভেস্ট’ পড়ে অনুশীলন করে। এই নিয়ে হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন জানান,”লাল হলুদ ফুটবলারদের জার্সির নীচে জিপিএস ভেস্ট পড়িয়ে প্র‍্যাকট্রিস করানোর কারণ এর ফলে প্র‍্যাকট্রিসে বল পায়ে খেলোয়াড়দের মধ্যেকার দূরত্ব এবং গতি নির্ধারণ করতে, অর্থাৎ ফুটবলারেরা কতটা জোরে দৌড়চ্ছে তা জানা যায়।”

এরই সঙ্গে লাল হলুদ হেডকোচ নয়া এই প্রযুক্তি নিয়ে আরও বলেন,”সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল প্র‍্যাকট্রিসে খেলোয়াড়রা কতটা পরিশ্রম করে হাঁপিয়ে যাচ্ছে,তা বুঝতে সাহায্য করে।প্র‍্যাকট্রিসের সময় এলিয়ান্দ্রো, লিমা,সার্থকরা কতটা বোঝা বইতে পারছে(ওয়ার্ক লোড) তা বোঝা যায়,ফলে ইনজুরি সমস্যা অনেকটা কম হওয়ায় একটা সম্ভাবনা থেকে যায়।” এখানেই থেমে না থেকে জিপিএস ভেস্ট নিয়ে স্টিফেন কনস্টাটাইন বলেন,”শুধু তাইই নয় খুঁটিনাটি যাবতীয় তথ্য নিয়ে দিনের শেষে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে তা খেলোয়াড়দের মধ্যে দেওয়া হলে খেলোয়াড়রাও বুঝতে পারে কোথায় তাদের খামতি রয়েছে,কিভাবে ওই খামতি দূর করা যায়।”

জিপিএস ভেস্ট নিয়ে বলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল এফসির হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন একটি চমকপ্রদ বিষয়ে আরও জানান,” খেলোয়াড়দের ঘুম,প্রস্রাবের রঙ নিয়েও তথ্য উঠে আসে। যাতে খেলোয়াড়দের ড্রিহাইডেশনের সমস্যা না হয় তার জন্যই এই সিস্টেম কাজে লাগানো হচ্ছে, এক্ষেত্রে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ফুটবলারদের। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণ একটাই যাতে তারা ম্যাচ ফিট থাকতে পারে এবং ম্যাচে তাদের সঠিক কি করণীয় তা বুঝতে পারে।”

নতুন এই জিপিএস ভেস্ট প্রযুক্তি ইস্টবেঙ্গল এফসি’র খেলোয়াড়দের কতটা ম্যাচ ফিট করে তুলতে পারে তা আগামী বৃ্হস্পতিবার দেখা যাবে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে বল দখলের লড়াইতে। প্রসঙ্গত, হাইল্যান্ডারদের বিরুদ্ধে লাল হলুদ ফুটবলারেরা খেলতে নামবে সমুদ্রতল থেকে ৫৫.৫ মিটার(১৮২.১ ফুট) উচ্চতায়। এমন ‘সি সারফেসে’ খেলতে হলে ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধ খেলোয়াড়দের প্রচুর ওয়ার্ক লোড নিতে হয় এবং অল্প দৌড়েই খেলোয়াড়রদের ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দম ধরে রেখে বল দখলের লড়াই হাড্ডাহাডি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি ম্যাচ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।