Tet Scam: আন্দোলনের মাঝে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আপাতত রেহাই মানিকের

দুর্নীতির( Tet scam) দায়ে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক…

দুর্নীতির( Tet scam) দায়ে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক পদে কর্মরত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই মুহুর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় তুলে ধরেছে ইডি। একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম ইতিমধ্যেই জড়াতে শুরু করেছে। গত এক দশক ধরে মানিক কারনামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁকে পর্ষদ সভাপতির আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

   

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন মানিক। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফেও সেই রায় বহাল রাখা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, মানিকের পদ অপসারণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা সঠিক নয়। তবে মানিক ভট্টাচার্যকে পুনর্বহাল নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত।

এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের সম্পত্তি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের নজরে। একইসঙ্গে আদালতের নজরে ছিল মানিকের পরিবারের সম্পত্তিও। সেই সমস্ত কিছুকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মানিকের পরিবারের একাধিক সদস্যদের সঙ্গে পরিবারের বাইরের সদস্যসদের যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কী কারণে যৌথ অ্যাকাউন্ট? জানতেই তদন্তে গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

অন্যদিকে, আত্মীয়ের সঙ্গে একটি অ্যাকাউন্ট ইডি নজরে আসে। ইডির অ্যাকাউন্টের নথি দেখানোর পর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের কথা স্বীকার নেন মানিক। সেই জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার উৎস কী? সেবিষয়ে মুখে কুলুপ মানিকের।